সেনাবাহিনীকে এখনই গাজায় অতিরিক্ত এলাকা দখলের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। তিনি হুমকি দিয়েছেন, হামাস যদি যুদ্ধবিরতির চুক্তি না মানে এবং জিম্মিদের মুক্তি না দেয় তাহলে এখনই এক অংশ দখলে করে নেবেন তারা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ হুমকি দিয়েছেন বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়।
ইসরায়েল কাটজ বলেন, সমস্ত জিম্মি ‘জীবিত ও মৃত উভয়’ ফিরে না আসা পর্যন্ত সামরিক বাহিনী গাজায় স্থল অভিযান চালিয়ে যাবে। হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে যত বেশি দেরি করবে, আমরা তত বেশি গাজার ভূখণ্ড দখলে নেব।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাটজ সেনাবাহিনীকে গাজায় অতিরিক্ত এলাকা দখল, জনগণকে সরিয়ে নেয়া এবং ইসরাইলি সম্প্রদায় ও সেনাদের সুরক্ষার জন্য গাজার চারপাশে নিরাপত্তা অঞ্চল সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। গাজায় এখনও ৫৯ জিম্মি রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গুঁড়িয়ে দেয়া হলো গাজার একমাত্র ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র। নেটজারিম করিডোরের কাছে অবস্থিত এই হাসপাতালটি ইসরাইলি বাহিনী তাদের পূর্ববর্তী আক্রমণের সময় একটি কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতো।
অন্যদিকে গাজার দক্ষিণে হামাসের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান ওসামা তাবাশকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে নেতানিয়াহুর সেনারা। এছাড়া, হামাসের নজরদারি ও লক্ষ্যস্থিরকারী ইউনিটকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে বলে জানায় তারা।
একইসঙ্গে, গাজার উত্তরাঞ্চলের আল-সালাতিন, আল-করামা ও আল-আওদা এলাকার বাসিন্দাদের ‘চূড়ান্ত সতর্কবার্তা’ দিয়ে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে গাজায় হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। পাকিস্তানের করাচিতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের সামনে শত শত মানুষ মিছিল করেছেন, যেখানে জামাত-এ-ইসলামির নেতৃত্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধের স্লোগান দেয়া হয়।
ইসরাইলের ভেতরেও সরকারবিরোধী ক্ষোভ বাড়ছে। জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন শত শত মানুষ। এর মধ্যেই ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সেই সিদ্ধান্ত আটকে দিয়েছে।