Tuesday, July 29, 2025

জাল সনদে ১৩ বছর ধরে চাকরি করেন ৫ শিক্ষক

আরও পড়ুন

বান্দরবানের লামায় জাল সনদে দীর্ঘ ১৩ বছর চাকরি করছিলেন পাঁচ শিক্ষক। অবশেষে ধরা খেয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ওই শিক্ষকেরা। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমির (নেপ) যাচাই বাছাইয়ে ধরা পড়ে এ জালিয়াতির ঘটনা।

ভুয়া সনদে চাকরি করা ব্যক্তিরা হলেন— উপজেলার মধুঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, রোয়াজা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, পাহাড়িকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইছহাক মিয়া, চিংকুম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজিব দাশ ও লেমু পালাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গাজী মো. ইসহাক।

আরও পড়ুনঃ  দাকোপে মন্দিরে মন্দিরে উড়োচিঠি, দুর্গাপূজা করতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সি.এড ও সি.ইন.এড প্রোগ্রামের ভুয়া সনদ দিয়ে ১২ শিক্ষক চাকুরি করছেন এমন অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযুক্ত শিক্ষকদের সি.এড ও সি.ইন.এড. প্রোগ্রামের সনদ যাচাই বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠায়।

বাউবির যুগ্ম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ইঞ্জিনিয়ার এসএম কামরুল আহসানের স্বাক্ষরিত একটি পত্রে জানানো হয়, হাবিবুর রহমান, আব্দুর রহমান, মো. ইছহাক মিয়া ও রাজিব দাশের সি.এড প্রোগ্রামের সনদ ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  আরও দুজনকে ডিবি হেফাজতে নেওয়ার কথা জানালেন হারুন

অপরদিকে নেপের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাহানাজ নূরুন নাহার স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, লেমু পালাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গাজী মো. ইসহাকের ব্যবহার করা সি. এন. এড. সনদটি সঠিক না।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, ‘বিষয়টি আমি ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ