Friday, January 10, 2025

মেয়েকে হত্যায় খুনি ভাড়া করেন মা, এরপর যা ঘটল

আরও পড়ুন

ভারতের উত্তর প্রদেশে মেয়েকে হত্যায় একজন খুনি ভাড়া করেন মা, তবে ওই ভাড়াটে খুনি শেষমেশ মেয়ের মা অলকাকে খুন করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ওই ভাড়াটে খুনি ও কিশোরীকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, অলকা দেবীর ১৭ বছরের কিশোরী মেয়ে তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তবে প্রেমিককে চিনতেন মা অলকা। এরপর অনেক কষ্টে মেয়েকে ফিরিয়ে আনলেও বাড়ি ফেরার পর থেকে মেয়ের ব্যবহারে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। তখন পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ভাড়াটে খুনি দিয়ে মেয়েকে দুনিয়া থেকে বিদায় করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  গাজায় জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ইসরায়েলে

প্রতিবেদনে অনুযায়ী, অলকার মেয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় যুবক অখিলেশ ও অনিকেতের বিরুদ্ধে অলকার মেয়েটিকে প্রলুব্ধ ও অপহরণের অভিযোগ ওঠে। পরে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর অলকা দেবী মেয়েকে তার নানিবাড়ি ফররুখাবাদ জেলার সিকান্দারপুর খাস গ্রামে পাঠান। কিন্তু সেখানে ওই কিশোরী ইতোপূর্বে ১০ বছর কারাভোগ করা ৩৮ বছর বয়সী সুভাষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। সুভাষ কথা বলার জন্য মেয়েটিকে একটি মোবাইল ফোনও কিনে দেন।

আরও পড়ুনঃ  বার্তা নিয়ে লেবাননে ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৪২ বছর বয়সী মা অলকা দেবী খুনি ভাড়া করার জন্য ওই সুভাষ সিংয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ করেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর অলকা সুভাষকে নিজের মেয়েকে হত্যার জন্য ৫০ হাজার রুপি দেয়ার প্রস্তাব দেন। এক পর্যায়ে সুভাষ তার প্রেমিকার কাছে তার মায়ের পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। তখন মেয়েটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে বলে, তার মাকে হত্যা করলে সে সুভাষকে বিয়ে করবে।

এরপর কিশোরী মেয়ে ও তার প্রেমিক সুভাষ অলকাকে একযোগে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন। পরিকল্পনা মোতাবেক, সুভাষ অলকাকে আগ্রাতে ডাকেন ও সেখানে মেয়েটিও আসেন। তারা তিনজন আগ্রার ইটাহ থেকে রামলীলা মেলায় এবং সেখান থেকে আলীগঞ্জ যান। পরে নাগলা চন্দন এলাকায় অলকাকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন সুভাষ। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে সুভাষ ও ওই কিশোরীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সুভাষ ও অলকার মেয়ে তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।

আরও পড়ুনঃ  বিশ্ব গণমাধ্যমে কোটাবিরোধী আন্দোলনে প্রাণহানির খবর

সর্বশেষ সংবাদ