Tuesday, March 18, 2025

বাংলাদেশের চেয়ে হাসিনাকে প্রাধান্য দিয়ে বিপাকে ভারত

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের চেয়ে হাসিনাকে প্রাধান্য দিয়ে বিপাকে ভারত!
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে পালাতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন ছাত্র-জনতা যখন তার সরকারি বাসভবনের দিকে এগোচ্ছিল, ঠিক তখন তিনি গোপনে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে গত জুন মাসে ওই আন্দোলন শুরু হয়। তবে ১৬ জুলাই যখন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ সারা দেশে ৬ জন নিহত হন; তখন এটি সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। তারই জেরে ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের।

আরও পড়ুনঃ  ভারতে সেহরি অপেক্ষারত মুসলিম যুবককে গুলি করে হত্যা

শেখ হাসিনার পতনের বিষয়টি ভারতে শঙ্কা তৈরি করে। কারণ তিনি ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতের সবচেয়ে বড় মিত্র।

এ বিষয়ে ভারতীয় লেখক ও সম্পাদক রাহুল ত্রিপাঠী ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরকে বলেছেন, ভারত সরকার শেখ হাসিনার ওপর অতিরিক্ত; অন্যদিকে বাংলাদেশের ওপর কম বিনিয়োগ করেছে। আর এ কারণেই দেশটি এখন এমন শঙ্কায় পড়েছে।

ফরাসি সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গভীর সম্পর্ক গড়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয়ই নিজ দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণকে উপেক্ষা করেছেন।

শেখ হাসিনার পতনের পর ভারত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ব্যাপারে যে সতর্কতা দিয়েছে, সেটিকে ভণ্ডামি হিসেবেও অভিহিত করেছে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর।

আরও পড়ুনঃ  ২৩৮ জনকে ন্যাড়া করে দেশ থেকে বের করে দিলেন ট্রাম্প, নিন্দার ঝড়!

সংবামাধ্যমটিতে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পতনের বিষয়টি গত কয়েক বছর ধরেই তৈরি হচ্ছিল। যদিও সরকারি চাকরির কোটার সংস্কার নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন তার শাসন অবসানের পথ তৈরি করেছে। কিন্তু গত ৭ জানুয়ারি যখন তিনি অস্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসেন, তখন সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পায়।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে একটি ‘অস্বচ্ছ’ নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করে। কিন্তু আঞ্চলিক পরাশক্তি ভারত ও চীন ৭৬ বছর বয়সি শেখ হাসিনাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শুভেচ্ছা জানায়। বিশেষ করে নির্বাচন শেষে নরেন্দ্র মোদির টুইটটি ছিল ন্যাক্কারজনক। সাধারণ মানুষ ও বিরোধী দল সেই নির্বাচন বয়কট করলেও, মোদি শেখ হাসিনা- এমনকি বাংলাদেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দেন।

আরও পড়ুনঃ  গাজা সীমান্তবর্তী এলাকার দখল এখন ইসরায়েলের হাতে

এ বিষয়ে ভারতীয় লেখক ও সাংবাদিক সলিল ত্রিপাঠী বলেছেন, (মোদি শুভেচ্ছা জানালেও) পুরো বিষয়টি ছিল বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। ভারত শেখ হাসিনার ওপর অতিরিক্ত আর বাংলাদেশের ওপর কম বিনিয়োগ করেছে। ভারত তার সব ডিম একটি ঝুড়িতেই রেখেছিল। আর ভূ-কৌশলগত দিক দিয়ে এটি অবশ্যই কোনো বুদ্ধিমান কিছু ছিল না।

সর্বশেষ সংবাদ