Friday, January 10, 2025

টিএসসি থেকে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার আটক

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নিহতদের স্মরণে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল’ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এসময় টিএসসি এলাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আক্তার হোসেনসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আটক করার সময় অন্তত ৫টি সাইন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে পুলিশ। এতে একাধিক সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে টিএসসিতে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সাংবাদিকরা অভিযোগ করেছেন, তারা আখতার হোসেনের বক্তব্য নিতে গেলে পুলিশ সাংবাদিকদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এ ঘটনায় দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। একজনকে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল এ নেওয়া হয়। তার নাম জানা যায়নি। দ্বিতীয় জন হলেন চ্যানেল এস টিভির স্টাফ রিপোর্টার সোলায়মান কবির।

আরও পড়ুনঃ  ‘দক্ষতা বাড়াতে বিদেশ যেতে আবদার’ ১১০৬ কর্মকর্তার, ব্যয় ১২০ কোটি টাকা

সোলায়মান কবির বলেন, এখানে সাউন্ড গ্র‍্যানেড মারার মতো কোনো পরিবেশই সৃষ্টি হয়নি। তারপরও পুলিশ আমার ওপরে এটা নিক্ষেপ করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আক্তারসহ দুজন আটক করার সময় টিএসসি ও রোকেয়া হলের সামনে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ।

কী অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে, এ বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার কাছে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ঢাবি কর্তৃপক্ষের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সার্জিস আলম বলেন, দেশে কোনো মহাদুর্যোগ বা এ রকম কিছু চলছে না। শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। হল ছাড়তে আন্দোলনকারীদের নির্দেশ দেওয়ার মানে হলো আন্দোলন নষ্ট করা। আমরা এমন সিদ্ধান্ত মানব না। আমরা হল ছাড়ব না। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।

এর আগে মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে ৬ শিক্ষার্থী নিহত হন। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হলগুলো থেকে ছাত্রলীগ নেতানেত্রীদের বের করে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুনঃ  হল কক্ষের বাইরে ফেলে পুড়িয়ে দেওয়া হলো রাবি ছাত্রলীগ নেতাদের বিছানাপত্র

বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে ছেলেদের বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও শাখা নেতাকর্মীদের কক্ষে ভাঙচুর চালানোসহ তাদের জিনিসপত্র পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।

গতরাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিতে উপাচার্যদের চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এ প্রেক্ষাপটে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়। সেই সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ