দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এ নিয়ে করণীয় নির্ধারণে বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়েছে।
সকাল ১০টায় সিন্ডিকেটের সভা শুরু হয়। উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের কার্যালয়ে এই জরুরি সভা চলছে।
এদিকে, গত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট মুহাম্মদ জহুরুল হকসহ নারীদের ৫ হলকে ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। রাতে কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থনকারী শিক্ষার্থীদের একাট্টা দাবির মুখে এসব হলের প্রাধ্যক্ষরা ছাত্র রাজনীতিমুক্ত করে শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকারনামা বা লিখিত দিতে বাধ্য হন।
ঘোষিত রাজনীতিমুক্ত হলগুলো হলো- রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল, কবি সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।
ধরনের পলিটিক্যাল সম্পৃক্ততা হলের সঙ্গে থাকবে না। আমরা হলের মেয়েরা যদি এসব দলের দ্বারা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই, তাহলে এই দায় প্রশাসন ও হল প্রভোস্টকে নিতে হবে।
আজ থেকে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলকে ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করা হলো।
সর্বশেষ ভোর রাত ৫টার দিকে ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিবেশের মুখে পড়ে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই হলকে ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করেন।
এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো-
১. শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে স্থায়ীভাবে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলো। ২. কোনো বহিরাগত হলে অবস্থান করতে পারবে না। ৩. শিক্ষার্থী কোনো প্রকার ক্ষতির (শারীরিক ও মৌখিক) সম্মুখীন হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৪. প্রশাসনিকভাবে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সিট বণ্টনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৫. হলের সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।