জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে টানা ১৯ দিন চরম উত্তেজনার পর এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। এই ১৯ দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার বড় ধরনের সংঘাতেও জড়িয়েছে চিরবৈরী দুই দেশ। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরের’ জবাবে পাকিস্তান চালিয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’, যেখানে সামরিকভাবে এক প্রকার পর্যুদস্ত হয়েছে ভারত।
মাত্র দিন তিনেকের সংঘাতে অত্যাধুনিক রাফালসহ হাফ ডজন যুদ্ধবিমান হারিয়েছে ভারত। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের গুদামও। এক কথায়, প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বড় ধরনের দূর্বলতা প্রকাশ পেয়ে গেছে দেশটির।
পাকিস্তানের সঙ্গে এই সংঘাত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রতিরক্ষা খাত নিয়ে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ভারত। দেশটির সরকারি সূত্র বলছে, প্রতিরক্ষা বাজেট আরও ৫০ হাজার কোটি রুপি বৃদ্ধি করতে পারে মোদি সরকার।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংশোধিত বাজেটের মাধ্যমে এই বর্ধিত অর্থ বরাদ্দ করতে পারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে, ৭ লাখ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যাবে ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে রেকর্ড ৬ দশমিক ৮১ লাখ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছিল ভারত। গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই বাজেট উত্থাপন করেন।
এর আগে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রতিরক্ষা খাতে ৬ দশমিক ২২ লাখ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছিল মোদি সরকার। ফলে, এ বছর প্রতিরক্ষা খাতে ৯ দশমিক ২ শতাংশ অর্থ বেশি বরাদ্দ করেছে ভারত।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ অনুমোদনের জন্য শীতকালীন সংসদ অধিবেশনের অনুমতি চাওয়া হবে। সেখানে অনুমোদন হলেই এই অর্থ গবেষণা ও উন্নয়ন, অস্ত্র ও গোলবারুদসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান ক্রয় করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকেই প্রতিরক্ষা খাতকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে আসছে নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন। ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে ২ দশমিক ২৯ লাখ কোটি রুপি বরাদ্দ করে বিজেপি। বর্তমানে ভারতের সব মন্ত্রণালয়ের চেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েই বেশি বাজেট বরাদ্দ করা হয়, যা মোট বাজেটের ১৩ শতাংশ।