Monday, July 28, 2025

শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা, অন্য কোনো দেশে পাঠাচ্ছে ভারত?

আরও পড়ুন

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশত্যাগ করেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার পর তিনি আশ্রয় নেন ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। তবে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, দিল্লি সরকার শেখ হাসিনাকে সেখানে রেখে স্বস্তি পাচ্ছে না।

কূটনৈতিক মহলের মতে, শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তবে তার নতুন অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে, তাকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কোনো নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে ভারত সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।

আরও পড়ুনঃ  ঈদে সেনাবাহিনী-বিজিবি-পুলিশ ও র‍্যাবের টহল বৃদ্ধিসহ ১১ নির্দেশনা

এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমও বেশ সংযত। কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, শেখ হাসিনার পাসপোর্ট না থাকলেও ভারত সরকার সাময়িকভাবে তার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। তবে ভারত তাকে স্থায়ী রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে চাইছে না এবং তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানোর চেষ্টা করছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে যেতে চেয়েছিলেন, তবে সে সময় লন্ডন সরকার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  পাঁচ ক্ষেত্রে সংস্কারের পর নির্বাচন : ড. ইউনূস

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েকটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: ২৪ এর গণহত্যা, বিগত ১৭ বছরে ক্রসফায়ারে হত্যাকাণ্ড, ২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডি, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সহিংসতা।

২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে একটি চিঠি পাঠিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ