Saturday, June 28, 2025

পাঁচ ক্ষেত্রে সংস্কারের পর নির্বাচন : ড. ইউনূস

আরও পড়ুন

বাংলাদেশে আইন, প্রশাসনসহ পাঁচ ক্ষেত্রে সংস্কারের পর অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ (রোববার ১৮ আগস্ট) দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফকালে তিনি এ কথা জানান।

৮ আগস্ট সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১০ দিন পর বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনীতিকদের সঙ্গে এই প্রথম সাক্ষাৎ করেন তিনি। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ জন মিশনপ্রধান যোগ দেন।

পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, ড. ইউনূস কূটনীতিকদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নিরাপত্তা বাহিনী ও মিডিয়াতে সংস্কার করার পরে আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করব।

আরও পড়ুনঃ  পাকিস্তানে যেতে ভিসা লাগবে না বাংলাদেশিদের

ড. ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এখনকার অগ্রাধিকার হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। দ্রুত এটি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিও সরকারের গুরুত্ব থাকবে। তৈরি পোশাকশিল্পে কোনো অস্থিরতা সহ্য করা হবে না বলেও জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ড. ইউনূস আরও বলেন, আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, তখন দেশের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ক্ষমতায় থাকার জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। বিচার বিভাগের ভঙ্গুর অবস্থা। গণতান্ত্রিক অধিকারকে ১৫ বছর ধরে দমনের মাধ্যমে খর্ব করা হয়েছে। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। নতুন প্রজন্ম ভোট ছাড়াই বেড়ে উঠছিল। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংক লুট করা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশের কোষাগার শেষ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  হাল ছাড়ছে না চীন, ‘কৌশলী’ হবে বাংলাদেশ

সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারা ফেরাতে জোরালো ও সুদূরপ্রসারী সংস্কার করার ওপর জোর দেন ইউনূস। তিনি বলেন, তার সরকার দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা রোধ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অগ্রাধিকার দেবে।

আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আওতায় সব ধরনের বাধ্যবাধকতা বাংলাদেশ মেনে চলবে বলেও কূটনীতিকদের সামনে অঙ্গীকার করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও জোর দেন ড. ইুউনূস। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  ১৫ আগস্ট নিয়ে যা বললেন নুর

আমেরিকা, ভারত, চীন ও রাশিয়াসহ ৫০ জনের বেশি কূটনীতিত এই ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান।

সর্বশেষ সংবাদ