ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে বহুল প্রত্যাশিত ফোনালাপ হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দীর্ঘ সময় ফোনে কথা বলেন এই দুই নেতা। কিন্তু ফোনালাপে যুক্ত হওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নাকি এক ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষায় রাখেন পুতিন।
ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, মঙ্গলবার দুই বিশ্বনেতা শেষ পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন। যেখানে পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরিবর্তে, পুতিন কেবল ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর উপর আক্রমণ বন্ধ করতে সম্মত হন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পকে পুতিনের ৬০ মিনিটের বেশি সময় অপেক্ষা করানোর তুলনায় ফোনালাপে যেসব কথা হয়েছে তা তেমন মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্পের সাথে ফোন কলের ঠিক আগে পুতিন অন্য একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন। যেখানে দেরি হওয়ার সতর্কতার কথা শুনে তিনি হাসছিলেন। দ্য সান অনুসারে, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট মস্কোতে একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলছিলেন।
মঙ্গলবার রাশিয়ার সময় বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ট্রাম্পের সাথে তার নির্ধারিত ফোনালাপের ঠিক আগে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছিল।
বিকেল ৪টার কিছু পরে, উপস্থাপক পুতিনকে মনে করিয়ে দেন যে তিনি ফোন করতে দেরি করছেন। এটি শুনে ভিডিওতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের হাসিমুখে কাঁধ ঝাঁকানোর ফুটেজ দেখা গেছে। দ্য সান অনুসারে, তিনি বিকেল ৫টার দিকে ক্রেমলিনে পৌঁছান – ফোন শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা পরে।
সেই মুহূর্তের ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছিল।
অনেকে এটিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘অপমান’ এবং পুতিনের ক্ষমতার খেলার জয় বলে অভিহিত করেছেন।
‘নেতাদের অপেক্ষা করানো পুতিনের পুরনো ক্ষমতার খেলা। কিন্তু এটা বেশ নিষ্ঠুর,’ একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন।
আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, অলিগার্কে (ধনকুবের) ভরা রুমে কথা বলার সময়, উপস্থাপক পুতিনের দিকে ফিরে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি কি দেরি করবেন। পুতিন কাঁধ ঝাঁকান। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সম্পূর্ণরূপে অপমান করেছেন।
কেউ কেউ এটিকে এই পাওয়ার প্লেতে কার হাতে কার্ড ছিল তার স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে অভিহিত করেছেন।
একজন এক্স ব্যবহারকারী উল্লেখ করেছেন, পুতিন ট্রাম্পকে বাঁশির মতো বাজালেন! পুতিনের সত্যিকারের যুদ্ধবিরতির কোনো ইচ্ছা নেই। তিনি জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রার হামলা বন্ধ করতে সম্মত হন। এর বেশি কিছু নয়। তিনি ইউক্রেনকে কোনো সামরিক সাহায্য, কোনো গোয়েন্দা সহায়তা বা ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদান করতে না দেয়ারও ইচ্ছা পোষণ করেন।