টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে রাতের অন্ধকারে জুবায়েরপন্থীদের ওপর হামলা ও ট্রিপল মার্ডারের অন্যতম আসামি মাওলানা সা’দ কান্ধলভী অনুসারীদের বাংলাদেশের মুখপাত্র মুফতি মোয়াজ বিন নুরকে (৪০) গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার বিকেলে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে। আগামী রোববার এ রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের নিজামুদ্দিন বা সা’দ অনুসারীদের বাংলাদেশের পরামর্শসভার প্রধান সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামকে এক নম্বর আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন জুবায়েরপন্থী এস এম আলম হোসেন। মামলায় ওয়াসিফুল ইসলামের ছেলে মুফতি ওসামা ইসলাম আনু এবং মেয়ের জামাতা আওয়ামী লীগ নেতা ড. কাজী এরতেজা হাসানকেও আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ২৯ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত আরো কয়েক শ’ সা’দ কান্ধলভী অনুসারীকে আসামি করা হয়। গ্রেফতার মুফতি মোয়াজ বিন নুর ওই মামলার পাঁচ নম্বর আসামি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, গ্রেফতার হওয়া মোয়াজ বিন নুর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের মরহুম নুর মোহাম্মদের ছেলে। মামলার পর মোয়াজ বিন নুরকে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
মোয়াজ বিন নুর ছাড়াও এ মামলায় এজাহার নামীয় চিহ্নিত আসামিরা হলেন ঢাকার ধানমন্ডি থানার আবাসিক এলাকার মরহুম রফিকুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, খুলনার বাটিয়াঘাটা উপজেলার বড় কড়িয়া গ্রামের মনসুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ মনসুর, ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, একই এলাকার ড. কাজী এরতেজা হাসান, সাভার থানা এলাকার জিয়া বিন কাশেম, তুরাগ থানা এলাকার আজিমুদ্দিন, সাভার থানার সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ, মুগদা থানা এলাকার শফিউল্লাহ, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজরা এলাকার মরহুম মাওলানা মোজাম্মেলুল হকের ছেলে আনাস, মোহাম্মদপুর থানা এলাকার আব্দুল্লাহ শাকিল, রমনা থানার কাকরাইল এলাকার রেজা আরিফ, উত্তরা পশ্চিম থানার (সেক্টর ৯) আব্দুল হান্নান, একই থানার (সেক্টর ১১) রেজাউল করিম তরফদার, তুরাগ থানার এলাকার মুনির বিন ইউসুফ, ঢাকার সায়েম, হাজী বশির সিকদার, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মনির হোসেন, মীরপুর থানা এলাকার প্রকৌশলী মুহিবুল্লাহ, ঢাকার পল্লবী থানা এলাকার আজিজুল হকের ছেলে আতাউর রহমান, এলিফ্যান্ট এলাকার তানভীর, তুরাগ থানার ভাটুলিয়া এলাকার মরহুম ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে বাবুল হোসেন, একই থানা এলাকার প্রকৌশলী আবুল বশর, প্রকৌশলী রেজনুর রহমান, উত্তরা থানার (সেক্টর ১০) মরহুম ফজলুল হক সিকদারের ছেলে নাসির উদ্দিন সিকদার, ড. আব্দুস সালাম, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওয়াসি উদ্দিন, রাজধানীর মীরপুর থানা এলাকার মিজান, তুরাগ থানার এলাকার শাহাদাতসহ কয়েক শ’ জনকে আসামি করা হয়।