Monday, August 18, 2025

পুলিশকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি

আরও পড়ুন

রাজশাহীতে পুলিশের এক কনস্টেবলকে জিম্মি করে ছিনতাই মামলার এক আসামির বিরুদ্ধে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওই আসামি জেল থেকে বের হন।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোরে ডিউটি শেষে ওই কনস্টেবল বাড়ি ফেরার পথে নগরীর রাজপাড়া থানাধীন টুলটুলিপাড়ার মোড়ে তাকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করা হয়।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশ ওই কনস্টেবলকে উদ্ধার করে। তবে ঘটনায় জড়িত ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মো. মিলন (৩৫)। তিনি নগরীর হড়গ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে একাধিক ছিনতাই ও চুরির মামলা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  জিয়াউর রহমানকে রাজাকার বলা যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা

আর জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার হওয়া ওই কনস্টেবলের নাম বদিউজ্জামান জনি। তিনি রাজপাড়া থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত।

পুলিশ জানায়, কনস্টেবল জনি থানার ডিউটি শেষ করে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন। কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন টুলটুলি পাড়ায় পৌঁছলে মিলন অন্তত ছয়জনকে নিয়ে জনিকে জিম্মি করে তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় জনি তার বন্ধু মিনহাজকে ফোন দিয়ে আড়াই লাখ টাকা নিয়ে আনতে বলেন। মিনহাজ বিষয়টি জনির বাবাকে জানান। জনির বাবা রাজপাড়া থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কনস্টেবল জনিকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মিলন পালিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে মিলনের সহযোগী সানোয়ারকে আটক করে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ  আইএসপিআরের বিবৃতি: ৩ পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গা হতে পারে

পুলিশ আরও জানায়, চলতি বছরে নগরীর চিড়িয়াখানা সড়কে স্বামী-স্ত্রী মোটরসাইকেলে যাবার সময় ওই দম্পতি ছিনতাইয়ের শিকার হন। ওই মামলায় মিলকে গ্রেপ্তার করে রাজপাড়া থানা পুলিশ। আর সেই মামলাটি কম্পিউটারে কম্পোজ করেছিলেন কনস্টেবল জনি, যা মিলন দেখে রেখেছিলেন। মিলন ওই ছিনতাই মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে এসেছে। এরপর থেকেই ওৎ পেতে ছিলেন মিলন। শুক্রবার ভোরে কনস্টেবল জনিকে একা পেয়ে দলবল নিয়ে তাকে আটকে আড়াই লাখ টাকা দাবি করে মিলন। ঘটনার পর থেকে পলাতক এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুনঃ  গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা

রাজপাড়া থানার ওসি মো. আশরাফুল আলম কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় সানোয়ার নামে মিলনের এক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পলাতক মিলনকেও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ