নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাজাকার ও খুনি বলা সেই যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে যুবদলের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া ৫ নম্বর ক্যানেল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সেই যুবলীগ নেতার নাম কাজল গাজী। তিনি গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষ কয়েকজন জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা কাজল গাজী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাজাকার ও খুনি বলা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরই জেরে শুক্রবার সকালে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবদল নেতা সুমনের নেতৃত্বে যুবদলের ৩-৪শ লোক গিয়ে কাজল গাজীর বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
হামলার বিষয়ে যুবলীগ নেতা কাজল গাজীর স্ত্রী গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন মহিলালীগ নেত্রী বিউটি বেগম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি লাইভ করেন। তাকে সেখানে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করতে শোনা যায়। তাকে বাঁচানোর আকুতি জানাতেও শোনা যায়।
এ বিষয়ে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবদলের নেতা সুমন বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর যুবলীগের ত্রাস কাজল গাজীর কত বড় সাহস সে আমাদের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এত বড় মন্তব্য করেছে, যা আমরা মুখে আনতেও পারছি না। হামলার ঘটনা কারা ঘটিয়েছে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে এই কাজলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, হামলার ঘটনা আমার জানা নাই। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর যুবলীগের কাজল আমাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আর যদি হামলা হয়ে থাকে তবে সেটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করেছে হয়তো। এমন কথা শোনার পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিকদের ঠিক থাকা মুশকিল।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান কালবেলাকে বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।