Monday, August 18, 2025

ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত পুতিন, ইউরোপকে জেলেনস্কির হুঁশিয়ারি

আরও পড়ুন

ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে রাশিয়াকে কোনোরকম ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে ইউরোপীয় নেতাদের হুঁশিয়ার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, আলোচনা নয়, তার প্রয়োজন আরও অস্ত্র।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাশিয়ার সোচি শহরে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন পুতিন। খবর রয়টার্সের।

গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। এতে তিনি আহত হন। ওই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমার মতে, তিনি অত্যন্ত সঠিক উপায়ে, সাহসের সঙ্গে একজন সত্যিকারের পুরুষের মতো আচরণ করেছিলেন। এই সুযোগে আমি তাকে নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই।’

আরও পড়ুনঃ  যুক্তরাষ্ট্রে আসামি ধরতে গিয়ে বন্দুক হামলায় ৪ পুলিশ নিহত

পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় ইউক্রেন নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার নিয়ে দেওয়া তার বক্তব্য গুরুত্ব দেওয়ার মত। ট্রাম্প প্রশাসন যোগাযোগ করলে আমি সাড়া দেবো। প্রয়োজনে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায়ও বসতে রাজি আছি।

এদিকে একইদিন হাঙ্গেরির একটি শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এতে তিনি বলেন, কিছু ইউরোপীয় নেতা রাশিয়াকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শর্ত ছাড়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন। পুতিনের কাছে কিছু ছাড় দেওয়া ইউক্রেনের জন্য অগ্রহণযোগ্য ও ইউরোপের জন্য আত্মঘাতী।

আরও পড়ুনঃ  ট্রাম্প জিতলে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক কিছুটা ধীরগতির হতে পারে, বড় তারতম্য আসবে না

জেলেনস্কি বলেন, আলোচনা নয়, আমাদের প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ অস্ত্র। পুতিনকে আলিঙ্গন করে কোনও সমাধান আসবে না। গত ২০ বছর ধরে অনেকেই তাকে আলিঙ্গন করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনের মিত্ররা যদি হামলা বন্ধ করতে চায়, তবে তাদের মস্কোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে হবে। রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান সের্গেই শোইগু জানান, পশ্চিমাদের এখন দুটি পথ রয়েছে: কিয়েভকে অর্থায়ন করে ইউক্রেনের জনগণের ধ্বংস অব্যাহত রাখা অথবা বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আলোচনায় বসা।

আরও পড়ুনঃ  অর্থ আত্মসাতে অভিযুক্ত টিউলিপকে সমর্থন দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি অতীতে বলেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ হেরে যেতে পারে। কিন্তু, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর নিজেদের ইউরোপীয় মিত্রদের কাছ থেকে বাড়তি সহযোগিতা ও সমর্থন আদায়ের জন্য চেষ্টা করছে ইউক্রেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ