Saturday, June 28, 2025

আমেরিকার নির্বাচনে তাকিয়ে যেসব দেশ

আরও পড়ুন

শুরু হয়ে গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। তবে কয়েকটি দেশ একটু বেশিই গুরুত্বের সঙ্গে অনুসরণ করবে এই নির্বাচন। কেননা এবারের প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে লড়াইয়ের পর ট্রাম্প জিতে গেলে এসব দেশের সঙ্গে ঘটবে একরকম। আর কমলা হ্যারিস জিতলে হবে আরেক রকম।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি বলছে, এই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে পারে বিশ্বের কয়েকটি জায়গার যুদ্ধ ও শান্তি পরিস্থিতি। এ ছাড়া অর্থনৈতিক ব্যাপারগুলোও এতে জড়িত। বিশেষ করে ইউরোপের ইউক্রেন-রাশিয়া ও এশিয়ার চীনের জন্য এই নির্বাচন বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে চীন। কেননা তারা আমেরিকার সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। এরই মধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনে জিতলে তিনি ট্যারিফ বাড়াবেন। আর চীনের ক্ষেত্রে ট্যারিফ হবে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্য দিয়ে একটা বাণিজ্য যুদ্ধের দিকেই তিনি আগাবেন বলে মনে হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  সৌদি আরবে ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা

সম্প্রতি চীনের বাণিজ্য কিছুটা মন্দার দিকে যাচ্ছে। এ জন্য তারা চাইতে পারে, ট্যাম্প যাতে ক্ষমতায় না আসেন। তবে কমলা হ্যারিস জিতলে ঠিক কী হবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না।

এরপর মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে থাকবে রাশিয়া ও ইউক্রেন। যুদ্ধরত এই দেশ দুটো পর্যবেক্ষণ করবে মূলত ট্রাম্প জেতেন কিনা সেটি দেখার জন্য। তিনি জিতলে হয়তো ইউক্রেনে সহায়তা কমে যেতে পারে। তার প্রভাব পড়বে যুদ্ধে। বিশ্লেষকেরা এমনটাই বলছেন।

এমনকি ট্রাম্পও বলেছেন, তিনি চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন। মনে হচ্ছে, ক্ষমতায় গেলে তিনি সহায়তা বন্ধ করে দিয়ে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য করতে পারেন। এতে করে ইউক্রেনের বেশকিছু এলাকা পেয়ে যাবে রাশিয়া।

আরও পড়ুনঃ  সিরিয়ায় সংবিধান বাতিল করে শরিয়াহ আইন চালু

এ ব্যাপারে ইউরেশিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আইয়ান ব্রেমার সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে বলছেন, ‘মার্কিন নির্বাচন ইউক্রেনীয়দের হাত জোর করে বেঁধে দিতে পারে। কারণ ট্রাম্পের জয় অবিলম্বে আমেরিকান নীতি অভিমুখী পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবে এবং আলোচনার জন্য কিয়েভের ওপর আরও অনেক বেশি চাপ সৃষ্টি করবে, যার অর্থ ইউক্রেনীয়দের শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সমর্থক থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় কি না।’

আর কমলা হ্যারিস জিতলে যুদ্ধে ইউক্রেন সহায়তা পাবে আগের মতোই।

আমেরিকার নির্বাচনের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইসরায়েল ও ইরান। কেননা ট্রাম্প জিতলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি বদলে যেতে পারে। যদিও দুই প্রার্থীই ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার কথা বলছেন। আর হুমকি দেওয়া হচ্ছে ইরানকে। এর মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প, তিনি নিজেকে ইসরায়েলের ‘রক্ষাকর্তা’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  ইরানকে 'বোমা হামলার' হুমকি দিয়ে যা বললেন ট্রাম্প

প্রথম ধাপে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প ইসরায়েলিদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। এবারও তিনি ইসরায়েল ইস্যুতে কমলার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, জরিপ সে কথাই বলছে। আর ট্রাম্প জিতলে ইরানের জন্যও ভালো হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কেননা তিনি জিতলে তাদের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা করার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অনুমতি দিতে পারেন।

এই সিদ্ধান্তে ভেটো দিয়েছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কমলা জিতলে তাঁর দেখানো পথেই হাঁটতে পারেন তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ