Friday, January 10, 2025

আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে বিচার ছাড়াই ১৯২৬ জনকে হত্যা

আরও পড়ুন

এভাবে মানুষ মারার প্রতিটি ঘটনার পর সরকারের তরফ থেকে প্রায় একই রকম গল্প বলা হয়। এসব যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সেটা শেখ হাসিনা সরকার ও তাঁর প্রশাসন আগাগোড়াই অস্বীকার করে গেছে। তবে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাত বছরের ক্রসফায়ারের তথ্য সংরক্ষণ করেছে। এ–সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রথম আলোর হাতে এসেছে সম্প্রতি। এতে দেখা যায়, এই সাত বছরেই ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২৯৩ জন। দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটেনি। এর মধ্যে অনেক রাজনৈতিক নেতা–কর্মীও রয়েছেন।

মন্ত্রী সুজনের স্বজনদের দাপট ছিল পঞ্চগড়জুড়ে

জেলা আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী সংগঠনে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, এলাকায় সিন্ডিকেট, জমি দখল, বিদ্যালয় কমিটি নিয়ন্ত্রণ, সুদ, জুয়া নিয়ন্ত্রণ; বিরুদ্ধমত দমন করতে নির্যাতন—সবই করেছেন তিনি। এ ছাড়া এলাকার অধিকাংশ স্থাপনাও করেছেন নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে। বলা হচ্ছে সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের কথা। সরকার পতনের পর তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরপর নির্যাতিত অনেকে এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

সুজন ছিলেন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। জেলার সর্বশেষ কমিটিতে তাঁর পরিবার ও স্বজন রয়েছেন ১০ জন। এ ছাড়া দলের সহযোগী সংগঠনগুলোও ছিল তাঁর কবজায়। তাঁদের অনেকে এখন এলাকাছাড়া।

আরও পড়ুনঃ  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

সংবিধান সংশোধন, পুনর্বিন্যাস নাকি পুনর্লিখন হবে-তা রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সংবিধান সংস্কার কমিশন। আগামী সপ্তাহে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু হচ্ছে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও প্রস্তাব নিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ওয়েবসাইট খোলা হবে।

সংবিধান সংস্কার কমিশন সরাসরি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসবে না। অন্তর্বর্তী সরকার দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে। পতিত আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ এবং জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ও সমর্থনকারীদের সুপারিশ নেবে না কমিশন। রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সংবাদ সম্মেলনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।

কাল মহারণ। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর পদের লড়াই। এ গ্রহে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যুদ্ধ এটা। এতে বিজয়ীর হাতে উঠবে হোয়াইট হাউসের চাবি। ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্টের চেয়ার আগামী চার বছর দখলে রাখার লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। এ জন্য সারাবিশ্বের কোটি কোটি চোখ তাকিয়ে আছে সেদিকে। সঙ্গে আছে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ভয়। কঠিন এক অনিশ্চয়তা। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে ভোটযুদ্ধ। প্রায় ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন মহারণ হতে যাচ্ছে। তার একদিকে ডেমোক্রেট কমালা হ্যারিস। বিপরীতে রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প। দু’জনের মধ্যে যে ভোটযুদ্ধ হচ্ছে তাতে জয়ের সুযোগ দু’জনেরই ফিফটি ফিফটি।

আরও পড়ুনঃ  চন্দন কুমার ধর থেকে হয়ে গেছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

সমানে সমান। কার গলায় উঠবে জয়ের মালা। কেউ পূর্বাভাস দিতে পারছেন না। এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে বাকি বিশ্ব। বিশ্বের অর্থনীতি, রাজনীতি- সবই ঘুরে যেতে পারে। এ জন্যই বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে সবাই। তারা দেখতে চায়- কার হাতে ওঠে হোয়াইট হাউসের চাবি। এবারের নির্বাচনের মতো এমন অনিশ্চিত অবস্থা, উত্তেজনা সাম্প্রতিক সময়ে আর দেখা যায়নি। কমালা হ্যারিস-ডনাল্ড ট্রাম্প দু’জনের সামনেই ইতিহাস গড়ার হাতছানি। কমালা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের এ যাবৎকালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট, যার শুরু একজন প্রসিকিউটর থেকে। একই সঙ্গে তিনি হবেন প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন গত ৫ আগস্ট দায়িত্বরত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা ভল্টে অস্ত্র জমা রেখে গণভবন ছেড়ে চলে যান। পরে অভ্যুত্থানকারীরা গণভবনে ঢুকে পড়লে এক পর্যায়ে ভল্টে রাখা এসএসএফের ৩২টি অত্যাধুনিক অস্ত্রও লুট হয়।

সেই থেকে এ পর্যন্ত ওই অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, লুট হওয়া ওই অস্ত্রগুলো হাতবদল হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের হাতে চলে গেছে।

আরও পড়ুনঃ  খুলনায় কোনো মন্দিরে হা'ম'লার ঘটনা ঘটেনি: হিন্দু ফ্রন্ট

গত ১৫ বছর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের ফরমায়েশি কাজ করার অভিযোগ ছিল। দুর্নীতি দমনে প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী ও স্বায়ত্তশাসিত এ সংস্থাটি পরিণত হয়েছিল ‘নখদন্তহীন বাঘে’। সিলেকটিভ মামলার তদন্ত থেকে সরকারঘনিষ্ঠদের ‘ক্লিনচিট’ বা দায়মুক্তি দেওয়া ছিল প্রাত্যহিক কাজ। সরকারের আজ্ঞাবহ সেই দুদক ক্ষমতার পালাবদলেই পুরো ৩৬০ ডিগ্রি ভোল পাল্টে অস্বাভাবিক গতিতে তদন্ত শুরু করে হাসিনা সরকারে মন্ত্রী, এমপি, আমলা, বিতর্কিত ব্যবসায়ী, প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও ঘনিষ্ঠদের।

আগস্টের পর গত আড়াই মাসে দুই শতাধিক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধেই দায়ের করা হয়েছে পাঁচটি মামলা। তবে রকেটগতিতে অনুসন্ধান শুরু হলেও মানা হয়নি দুর্নীতি তদন্তে দুদকেরই নীতিমালা। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ছিল খোদ দুদকের ভেতরেই। সংস্থাটির একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর কমিশন তাদের গদি বাঁচাতে ভোল পাল্টে ত্রুটিপূর্ণ তৎপরতা শুরু করেছিল। বর্তমান সরকারকে বোঝাতে চেয়েছিল যে, তারা তাদের পারপাস সার্ভ করার জন্য যথেষ্ট। শেষ পর্যন্ত তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। গত ২৯ অক্টোবর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দুই কমিশনারসহ পদত্যাগ করেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

সর্বশেষ সংবাদ