Monday, August 18, 2025

জাহাজের আদলে মসজিদ, নজর কাড়ছে বিশ্বের

আরও পড়ুন

যেন সড়কেই চলছে জাহাজ। হঠাৎ নজরে পড়লে এমনটাই মনে হবে। তবে একটু খুঁটিয়ে দেখলে, বোঝা যাবে, এটা আসলে মসজিদ। রাস্তার দুপাশ দিয়ে চলছে গাড়ি। আছে মানুষের কোলাহলও। অথচ ব্যস্ত সেই সড়কের মাঝেই গড়ে উঠেছে অনন্য স্থাপত্যের নিদর্শন এই মসজিদ।

স্থানীয়দের কাছে মসজিদটি খ্যাতি পেয়েছে জাহাজওয়ালা মসজিদ নামে। পাকিস্তানের করাচি শহরে অবস্থিত এই মসজিদের আসল নাম কুটচি জামে মসজিদ।

এই এলাকায় ধোপাদের বাস। মানুষের কর্মচাঞ্চল্যে সারাক্ষণ থাকে মুখর। সেখানেই ১৩০ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে গড়ে ওঠে এই মসজিদ। চাঁদা তুলে মসজিদটি বানিয়েছেন শ্রমিকরা। কিন্তু রাস্তা বাড়ানোর প্রয়োজন হওয়ায় কয়েকবার ভাঙার উপক্রম হয়েছিল মসজিদ। তবে প্রতিবারই সেই আদেশের বিরোধিতা করেছে স্থানীয়রা। পরে মসজিদের নতুন নকশায় তৈরি করা হয়। এখন সগৌরবেই দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি।

আরও পড়ুনঃ  শামা ওবায়েদের পদ স্থগিত

রাস্তার মাঝ বরাবর মসজিদ। তাই পথচলায় সমস্যা। এজন্য বারবার দেওয়া হয়েছে ভেঙে ফেলার হুমকি। কিন্তু পাকিস্তানের করাচি শহরের ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এতে আপত্তি জানান। স্থপতিদের সঙ্গে মিলে ২০০৫ সালে নতুন এক প্রস্তাব দেন। সেই মসজিদই নতুন রূপে হয়েছে জাহাজওয়ালা মসজিদ। ইতিহাসকে সংরক্ষণ করে উদ্ভাবনী দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এটি।

মনে হচ্ছে যেন সাগর থেকে একটি জাহাজ বেরিয়ে এসে ধোবি ঘাটে দাঁড়িয়ে আছে। এই মসজিদ বাইরে থেকে দেখতে যেমন সুন্দর। ভেতর থেকেও অসাধারণ। পুরোনো একটি মসজিদকে সংস্কার করে এমন আকৃতি দেওয়া হয়েছে। অনন্য এই মসজিদ দেখতে দূর দুরান্ত থেকে আসছে মানুষজন।

আরও পড়ুনঃ  এমবাপ্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, তদন্ত শুরু

ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, ব্যস্ত সড়কের মাঝখানে রয়েছে জাহাজ আকৃতির ওই মসজিদ। মসজিদটি নীল, লাল ও সবুজ রঙে রাঙানো হয়েছে। একপর্যায়ে মসজিদটিতে স্থানীয়দের নামাজ পড়ার জন্য ঢুকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। এই মসজিদ ব্রিটিশ আমলে গড়ে তোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

দুই হাজার ৪ বা ৫ সালে মসজিদটি সংস্কার করা হয়। এরপরই এই মসজিদ জাহাজওয়ালা মসজিদ হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। তখন যত চাঁদা উঠেছিল, তা দিয়েই মসজিদের সংস্কার করা হয়। মসজিদের ভেতর একসঙ্গে প্রায় ১ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারে।

আরও পড়ুনঃ  লেফটেন্যান্ট তানজিম তুমি প্রমাণ করেছ দেশপ্রেমিক সৈনিক : আসিফ আকবর

স্থানীয় একজন স্থপতি আব্দুল কাদির এই মসজিদের নকশা করেছেন। তিনি কুটচি সম্প্রদায়ের একজন। মসজিদটি তৈরি করতে সাত বছরের বেশি সময় লেগে যায়। বর্তমানে এই মসজিদটি ৩ তলা। জানা যায়, ১৯৮০-র দশকে করাচির ত’কালীন মেয়র ড. ফারুক সাত্তার, মসজিদটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয়রা মসজিদ সরাতে রাজি হয়নি, উল্টো ছেড়ে দিয়েছেন নিজেদের জায়গা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ