ইসরায়েলি হেলিকপ্টারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে এ হামলা চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা উত্তর ইসরায়েলের বেইত হিলেলের উপর দিয়ে উড়ন্ত একটি ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টারে সারফেস টু ইয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। তাদের হামলার ফলে এটি পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে।
ইসরায়েলি হেলিকপ্টারে হামলা চালানো কথা বললেও এটি বুধবার চালানো হয়েছে কিনা তা হিজবুল্লাহ জানায়নি। অন্যদিকে এ বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইরানের হামলার পর বাড়ল তেলের দাম
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননে ইসরায়েলের হামলা ও চলতি সপ্তাহে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরুর পর এটি প্রথম কোনো ইসরায়েলি হেলিকপ্টারে হিজবুল্লাহর হামলার ঘটনা।
এদিকে, হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ার কথা জানালেও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র যেসব স্থানে আঘাত হেনেসে সেসব স্থানে ছবি বা ভিডিও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ জানান, যেসব নাগরিক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলাস্থলের অবস্থান প্রকাশ করছে বা যেসব এলাকা ধ্বংস হয়েছে তার ছবি ও ভিডিও ধারণ করে প্রচার করছে তারা শত্রুকে সাহায্য করছে। ইসরায়েলকে রক্ষার দায়িত্ব তার নাগরিকদের হাতে। ইসরায়েল কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করবে না।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন হামলার ভিডিও বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, নেভাতিম ঘাঁটিতে অন্তত কয়েক ডজন মিসাইল ছুড়েছে ইরান। যেগুলো একের পর এক ঘাঁটিতে আঘাত হানতে দেখা গেছে। ইরান দাবি করছে এ হামলায় ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি এফ-৩৫ বিমান ধ্বংস হয়েছে, যদিও ইসরায়েল এমনটা অস্বীকার করছে।