বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকার আদালত চত্বরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবককে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। সেই মুহূর্তে তাকে পিঠ চাপড়ে সাহস দিচ্ছিলেন এক নারী। তাদের মধ্যে সামান্য কথাবার্তাও হয়। পরে জানা যায়, সে ঘটনার দুই চরিত্র মা ও ছেলে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর স্ত্রী-সন্তান। ছেলেটির নাম ওমর শরীফ মো. ইমরান। ডাকনাম সানিয়াত। আর মা শামীমা আক্তার লাকী। সাহসী মা-ছেলের মুখোমুখি হয়েছিল দীর্ঘ আলাপচারিতায় উঠে আসে সানিয়াতকে আটক থেকে শুরু করে সব ঘটনা। আদালত চত্বরে কী কথা হয়েছিল মা-ছেলের। তাও জানিয়েছেন তারা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অন্তু মুজাহিদ
সানিয়াত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যানেজমেন্টে স্নাতক এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন। এরপর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) থেকে এমবিএ করেন। বর্তমানে তিনি বিস্কুট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অলিম্পিকে চিফ কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত। ২০০৯ সালে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া সানিয়াত এখন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা নেপথ্য নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অন্যতম তিনি। এ কারণে গত ২৩ জুলাই তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি পরিবারের। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় কারামুক্ত হন সানিয়াত। এর মাঝে ২৫ জুলাই আদালত চত্বরে ঘটে ছেলের পিঠ চাপড়ে মায়ের
সাহস জোগানোর সেই আবেগঘন ঘটনা।
সানিয়াত: পাঁচ আগস্ট আমাকে বোঝাতে দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। আমি আর আসিফ কেরানীগঞ্জ কারাগারের শাপলা-৪ এর এ-তে ছিলাম। ৩টার সময় আমাকে বলছে যে, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। আমি সত্যি কথা বিলিভ করিনি। আমি বললাম, খবরদার কেউ গেট খুলবেন না। ডা. ডোনার আঙ্কেলসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা এসে বকা দেন। আমি বলেছি, আঙ্কেল তার পরও। উনারও আধা ঘণ্টা সময় লেগেছে আমাকে বুঝিয়েছে। মানে আসলেই যে উনি গেছেন। ৫ তারিখের পর জেলে অনেক রায়ট হয়। ৬ তারিখ সন্ধ্যায় বের হয় ওইদিন আমার মা দুপুর থেকে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পরে বের হয়ে আম্মাকে প্রথম দেখি।