Monday, August 18, 2025

দফায় দফায় পিটিয়ে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে : সমন্বয়ক কাদের

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেছেন, একজন মানুষকে চোর সন্দেহে আটক করে ভাত-টাত খাওয়ানোর পর দফায় দফায় পিটিয়ে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে করা এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বেলা ২টার দিকে সমন্বয়ক কাদেরের করা এ পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো :

একজন মানুষকে চোর সন্দেহে আটক করেছে, সবকিছু নিবিরথিবির করে ভাত-টাত খাওয়ানোর পর দফায় দফায় পিটিয়ে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে।

এই দীর্ঘ সময়ে প্রশাসন কই ছিল? হল প্রশাসনের ভূমিকা কই?

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র

সাংবাদিক মারফত শুনেছি, চারজন হাউস টিউটর শেষ সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, তারপরে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড কেমনে সংঘটিত হয়? অপরাধী যে-ই হোক, শীঘ্রই সিসি টিভি ফুটেজে সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।

একই সাথে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেনো হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ফজলুল হক হলের এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, আজই শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ।

আরও পড়ুনঃ  একশ দিনে ৩৩টি বড় কাজ করতে চায় তথ্য মন্ত্রণালয়

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কালবেলাকে তিনি এ তথ্য জানান।

হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় হলে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছিল। এমন সময় হঠাৎ তোফাজ্জল নামে যুবক হলে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা দুপুরে ছয়টি মোবাইল চুরির ঘটনার চোর সন্দেহে মূল ভবনের অতিথি কক্ষে নিয়ে তাকে মারধর ও জেরা করতে থাকে। একপর্যায়ে, তাকে নিয়ে হল ক্যান্টিনে খাওয়ানো হয়। এরপর এক্সটেনশন ভবনের অতিথি কক্ষে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় বুক, পিঠ, হাত ও পায়ে ব্যাপক মারধর করেন একদল শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুনঃ  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মারধরের ফলে ওই যুককের পা থেকে রক্ত বের হতে থাকে। এরপর রাত পৌনে ১০টার দিকে ফের মূল ভবনের অতিথিকক্ষে নিয়ে মারধর করা হয়। এরপর ১০টার দিকে প্রক্টোরিয়াল মোবাইল টিমের সদস্যরা এলে মারধরকারীরা তাকে তাদের হাতে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে কিছু শিক্ষার্থী ও কয়েকজন হাউস টিউটরের সহায়তায় তাকে প্রথমে শাহবাগ থানায় এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ