মন্ত্রণালয়ের কাজকে আরও বেগবান এবং গতিশীল করতে আগামী একশ দিনে ৩৩টি বড় কাজের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মপরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলের (২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত) সকল দুর্নীতি, অনাচার, দমনপীড়ন, মানবতাবিরোধী অপরাধ, সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর যৌথভাবে কাজ করবে বলে ঘোষণা করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা গত এক মাসে যেসব ক্ষেত্রে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তার একটি তথ্য বিবরণী সাংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন উপদেষ্টা।
আগামী ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনার মধ্য রয়েছে :
দেওয়ালে অংকিত গ্রাফিতির ওপর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক অ্যালবাম তৈরি করা হবে।
২৭. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং রাষ্ট্র সংস্কার ভিত্তিক ফিচার প্রকাশ করা হবে।
২৮. বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমসহ অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকা ভিত্তিক সেমিনার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজন করা হবে।
২৯. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সেন্সর্ড অবস্থায় থাকা চলচ্চিত্রসমূহ নীতিমালা ও যৌক্তিকতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।
৩০. চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি পুনর্গঠন করা হবে।
৩১. প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আইন ২০১৮-এর কতিপয় ধারা সংশোধন করে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ।
৩২. তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ -এর কতিপয় ধারা সংশোধন করে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ।
৩৩. তথ্য কমিশনের বিদ্যমান চাকরির বিধিমালা যুগোপযোগী করা হবে।
এ ছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থা থেকে নিয়মিত দাপ্তরিক কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে অব্যাহত রয়েছে এবং অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।