Monday, August 18, 2025

বাংলাদেশের আরও কাছে এমপক্স শনাক্ত

আরও পড়ুন

আফ্রিকা ও ইউরোপের পর এবার এশিয়ায় এমপক্স (পূর্বে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত) ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিনজনের দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এ দাবি করেছে উত্তরাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। খবর বিবিসির।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফেরার পর ওই তিন ব্যক্তির দেহে ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। পাকিস্তানে আগেও এমপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।

আরও পড়ুনঃ  পলকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

তবে এবার আক্রান্ত রোগীরা এই ভাইরাসটির কোন ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খাইবার পাখতুনখোয়ার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সেলিম খান জানান, রোগীদের মধ্যে দুজনের দেহে এমপক্স ভাইরাস পাওয়া গেছে। আর তৃতীয় ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজধানী ইসলামাবাদে জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনজনকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, দেশটিতে এমপক্সের একটি সন্দেহজনক কেস শনাক্ত হয়েছে। আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো থেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে এমপক্স ছড়িয়ে পড়লে বুধবার বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পরদিনই সুইডেনে আফ্রিকা ফেরত এক ব্যক্তির দেহে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংস্থাটি।

আরও পড়ুনঃ  গুরুতর অসুস্থ বাবর, মেডিকেল বোর্ড গঠন

এমপক্স প্রথমে ফ্লুর মতো দেখা দেয়। এরপর ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি করে মারাত্মক অবস্থা ধারণ করে। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাস থেকেও অন্য কেউ সংক্রমিত হতে পারেন। চলতি বছরের শুরু থেকে কঙ্গোতে ১৩ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় ৫০০ জন মারা গেছেন। এর আগে, ২০২২ সালে ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু দেশসহ প্রায় ১০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। সে সময়েও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ