Saturday, July 12, 2025

যুবদল নেতাকর্মীদের পাথর মেরে মানুষ হত্যার ভিডিও ভাইরাল

আরও পড়ুন

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে মো. সোহাগ (৪৩) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার করে নানা মন্তব্য করছেন নেটিজনরা।

লতিফুল ইসলাম নামে একজন ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে লেখেন, ‘ভিডিওটা বীভৎস, শেয়ার করার মতো না।’ নাজমুল ইসলাম নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মিডফোর্টের ভিডিওটা দেখলাম। পাথর দিয়ে একটা মানুষকে কিভাবে জনসম্মুখে মাথা থেতলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সুস্থ স্বাভাবিক কেউ ভিডিওটা দেখার সাহস করবে না। এ কোন জাহেলিয়াতে আছি আমরা? কাদের হাতে আমাদের দেশের ভবিষ্যত?।’

আরও পড়ুনঃ  মাগুরার শিশুর শোক শেষ না হতেই সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার

জানা গেছে, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়। নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর পুলিশ জনি ও মঈন নামে দুজনকে আটক করেছে।

নিহত সোহাগের বন্ধু মামুন বলেন, গত দুই-তিন মাস ধরে মঈন প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করত সোহাগের কাছ থেকে। সোহাগ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রায় দুই মাস আগে দোকানের সামনে এসে হুমকি দিয়ে যায়—তোকে দেখে নেব। আজ সন্ধ্যায় সোহাগকে একা পেয়ে মঈনসহ ৪-৫ জন মিলে তাকে পাথর দিয়ে আঘাত করে এবং উলঙ্গ করে নির্মমভাবে মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুনঃ  অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ‘ধর্ষণচেষ্টা’, স্বামীর পিটুনিতে যুবলীগ নেতা নিহত

আমরা কেউ ভয়ে এগিয়ে যেতে পারিনি, কারণ মঈন চকবাজার থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিল। তার বিরুদ্ধে মিটফোর্ড হাসপাতালের ফুটপাত ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সুপারিশ করে চাকরি দেওয়ার কথা শোনা যায়।

এ বিষয়ে লালবাগ থানার ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাব্বি গণমাধ্যমকে বলেন, মঈন একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। তিনি চকবাজার থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন এবং দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। বিশেষ করে দলের দুর্দিনে তিনি পাশে ছিলেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারেন—এটা আমরা বিশ্বাস করি না।

আরও পড়ুনঃ  বেরোবির নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের যে ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঘটনাটি গত বুধবারের। কয়েকজন মিলে প্রকাশ্যে একজন ব্যক্তিকে পাথর মেরে হত্যা করেন। এ ঘটনায় থানায় ১৯জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকি আরও কয়েকজন অজ্ঞাত রয়েছে। আসামীদের মধ্যে আমরা ২জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা এখন রিমান্ডে আছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ