রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেরোবিতে অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় গেটে জড়ো হলে তাদের ওপর রাবার বুলেট ও গুলি চালায় পুলিশ। এতে আবুদ সাঈদ নামের ওই শিক্ষার্থী নিহত হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার উত্তম কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আবু সাঈদের মৃত্যুর তার করা একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। যেখানে কোটা সংস্কার আন্দোলনে মারা গেলে মরদেহ নিয়ে কী করতে হবে, তা সোমবারই (১৫ জুলাই) নিজের ফেসবুক আইডিতে জানিয়েছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আদনান আবিরকে উদ্ধৃত করে তিনি লেখেন, যদি আজ শহিদ হই তবে আমার নিথর দেহটা রাজপথে ফেলে রাখবেন। ছাত্র সমাজ যখন বিজয় মিছিল নিয়ে রুমে ফিরবে তখন আমাকেও বিজয়ী ঘোষণা করে দাফন করবেন৷
এর নিচেই তিনি লেখেন, একজন পরাজিতের লাশ কখনো তার মা-বাবা গ্রহণ করবে না।
যদিও তিনি ওইদিন আরও কয়েকটি পোস্ট করেন। সেখানে একটি তিনি লেখেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের একের পর এক মন্ত্রীরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এইসব পোস্ট করে যাচ্ছেন। যেখানে তাদের উচিৎ ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের অযথা যে ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে তার প্রতিবাদ করা। অথচ তারা সম্মিলিতভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছেন।
তাদের সাহস কি করে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে তুলনা করার? স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি বিপক্ষ শক্তির সার্টিফিকেট দেয়ার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? আপনাদের মতের সঙ্গে না মিললেই সে রাজাকার এই অপকৌশল এখন আর চলবে না। আপনারা ভিন্নমত সহ্য করতে পারেন না এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে আপনাদের আচরণে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অধিকার আপনাদের ছাত্রসংগঠনকে কে দিয়েছে?
দেশের মালিক জনগণ, কাজেই জনগণের ইচ্ছা কে প্রাধান্য দিন। সরকার যা চাইবে তাহাই হইবে এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশের চিত্র হতে পারে না।