চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী উত্তর কোরিয়াকে নাস্তানাবুদ করতে প্রথমবারের মতো ভয়ংকর এবং দানবীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দেশটির সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে হাইয়ুনমু-ফাইভ ক্ষেপণাস্ত্রটি ছাড়াও ৩৪০টি সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শিত হয়। এসময় দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েওল সতর্ক করে বলেন, উত্তর কোরিয়ার শাসকগোষ্ঠী পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে তাদের ধ্বংস অনিবার্য। বার্তা সংস্থা এপি এবং আলজাজিরার খবরে এমনটি বলা হয়েছে।
হাইয়ুনমু-ফাইভ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রদর্শনীর কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পারমাণবিক অস্ত্র বহন উপযোগী ক্ষেপণাস্ত্রটি ৮ টনের বেশি ওজনের ওয়ারহেড দিয়ে শত্রুপক্ষের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
এটি ভূপৃষ্ঠ ভেদ করে অনেক গভীরে ঢুকে পড়ার সক্ষমতা রাখে। এর আঘাতের রেঞ্জ হিসেব করলে জানা যায় উত্তর কোরিয়ার ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারগুলোও এখন আর নিরাপদ নয়। এতে করে পিয়ংইয়ংকে তাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নতুন ভাবে চিন্তা করতে হবে।
রাজধানী সিউলের কাছে সামরিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হাজারো সেনাসদস্যদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েওল বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের বাহিনী পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে। আমাদের সঙ্গে থাকবে (দক্ষিণ কোরিয়া ও) যুক্তরাষ্ট্র জোটের সামরিক সমর্থন। সেদিন উত্তর কোরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি হবে।’
প্রতিবেশী দুই দেশের বিদ্বেষ-সংঘাতের আগুনে ঘি ঢালতেই যেন নিজেদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য প্রকাশ করে পিয়ংইয়ং। আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের আগে পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মতো আগ্রাসী পদক্ষেপও নিয়েছে কিম জং উনের দেশ। এর জবাবেই অস্ত্র প্রদর্শন করে সতর্কবার্তা দিয়েছে সিউল।