পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ দল আছে আত্মবিশ্বাসের চূড়ায়। এমন সময়ে ভারতের মাটিতে দুই টেস্ট আর তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ নিয়ে আশাবাদী দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু সিরিজটাকে ঘিরে এখন অন্য ঝামেলার কথাও উঠছে।
ভারতীয় হিন্দু মহাসভা এর আগে একবার বাংলাদেশের একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ভেন্যু গোয়ালিয়রে ম্যাচকে ঘিরে ঝামেলা পাকানোর হুমকি দিয়েছিল। আজ ভারতের সংবাদমাধ্যম এবিপি লাইভের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে হিন্দু মহাসভার আরেক হুমকির কথা। ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু কানপুরেও বাংলাদেশ দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের হুমকি দিয়েছে হিন্দু মহাসভা।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রিত সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অনেক ভুয়া খবরই ছড়িয়েছে ভারতের অনেক সংবাদমাধ্যম, টুইটার ও সামাজিক যোগাযোগের অন্য মাধ্যমগুলোতেও একই কাজ করেছে তারা। এমনকি আওয়ামী লীগের হয়ে নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বাড়ি পোড়ানোর ঘটনাকে লিটন দাসের বাড়ি পোড়ানো হয়েছে বলেও প্রচার করা হয়!
তা এখন ভারতীয় হিন্দু মহাসভার দাবি, ৫ আগস্ট পালাবদলের পর বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনে’র কারণেই তারা বাংলাদেশ দলকে ঘিরে প্রতিবাদ জানাবে! এবিপি লাইভ লিখেছে, এমন পরিস্থিতিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু কানপুর থেকে সরিয়ে ইন্দোরে নিয়ে যাওয়ার আলোচনাও উঠেছে। তবে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কোনো সূত্র এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তেমন কিছু জানাতে পারেনি বলেও লিখেছে সংবাদমাধ্যমটি।
সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার কথা চেন্নাইয়ে। কানপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার কথা ২৭ সেপ্টেম্বর। এরপর অক্টোবরে ৬ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে হবে তিন টো-টোয়েন্টি। ৬ অক্টোবর নাজমুল হোসেন শান্তর দল প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলবে গোয়ালিয়রে, ৯ অক্টোবর দ্বিতীয় ম্যাচটি দিল্লিতে, আর ১২ অক্টোবর তৃতীয় টি-টোয়েন্টির ভেন্যু হায়দরাবাদ।
এর আগে গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টিকে ঘিরে ঝামেলা পাকানোর ঘোষণা দিয়ে হিন্দু মহাসভার সহ-সভাপতি গত ১৪ আগস্ট পিটিআইতে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর গণহত্যা চালানো হচ্ছে, মন্দির ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সে কারণে হিন্দু মহাসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ আয়োজনের প্রতিবাদ করা হবে।