Monday, August 18, 2025

অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষদিন আজ

আরও পড়ুন

ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশে বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর দুর্বৃত্তরা অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয়।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে নিকটস্থ থানায় বুধবারের (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, এরই মধ্যে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশে বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর দুর্বৃত্তরা অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয়।

আরও পড়ুনঃ  অপতথ্য ছড়ানো থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন বাকিটা আমরা সামলে নিতে পারব

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে নিকটস্থ থানায় বুধবারের (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, এরই মধ্যে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকার যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান।

আরও পড়ুনঃ  উপদেষ্টা ফারুকীর বক্তব্যকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে অপসারণের দাবি

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানা-ফাঁড়িতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া ছাত্র-নাগরিক গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের আগেও পুলিশের বিভিন্ন থানা, ইউনিট ও ডিউটিস্থল থেকে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ১৮৯০টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। গুলি উদ্ধার হয়েছে ৯২ হাজার ৯১ রাউন্ড। এ ছাড়া ২৮৮০টি টিয়ার শেল এবং ২৯৬টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে।

উল্লেখ্য, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় লুট করা হয় পুলিশের অস্ত্র। এখনো লুট হওয়া অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। ফলে বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি।

আরও পড়ুনঃ  ৫ তারিখে সফল না হলে অস্ত্র তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিতাম: উপদেষ্টা আসিফ

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আন্দোলন চলাকালে সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে ১০১টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে ৮০টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ২১টি এখনো উদ্ধার হয়নি। এসব অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধার হওয়া ৮০ অস্ত্রের মধ্যে এসএমজি, চায়না রাইফেল, পিস্তল, শটগান রয়েছে। এখনো ২১টি অস্ত্র জমা পড়েনি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ