ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-পুরুষসহ উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার আলগি ইউনিয়নের পীরেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পীরেরচর গ্রামের ওসমান মেম্বার দলের শহীদ মাতুব্বর ও চুন্নু মাতুব্বরের দলের আবু মাতুব্বরের বাড়ির জায়গা নিয়ে বহুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আবু মাতুব্বর আদালতে একটি মামলাও করেছিল। শহীদ মাতুব্বর বিরোধের জায়গায় আবু মাতুব্বরের সঙ্গে কথা বলে আপোষে একটি ঘর উঠাতে যায়। সেখানে আবু মাতুব্বরের দলনেতা চুন্নু মাতুব্বর ঘর উত্তোলনে বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে এক সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও জানা যায়, স্থানীয় পীরেরচর বাজারে উভয়ের মাঝে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র- ঢাল, সড়কি, টেঁটা, কাতরা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়ে। উভয় দলের মাঝে চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলতে থাকে এ সংঘর্ষ। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় উভয় দলের প্রায় ২০ সমর্থক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১১ জনকে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা জাকারিয়া মাতুব্বরের বাড়ি ও অজ্ঞাত আরও কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
ঘটনায় ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল-রশিদ কালবেলাকে জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে গিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় দলের লোকজন আহত হয়েছে। আমরা খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি, পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।