Saturday, June 28, 2025

মারা গেল আন্দোলনে আহত স্কুলছাত্র মাহিম

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুতর আহত মাহিম আর নেই। গত ৪ আগস্ট কুমারখালীতে মিছিলে থাকা অবস্থায় পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসে গুরুতর আহত হয় মাহিম। বিগত কয়েক দিন অসুস্থ থাকার পর মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

নিহত মাহিম হোসেন (১৭) কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের বামন পাড়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের বড় ছেলে। সে চাঁদট গ্রামের ইয়াকুব আহমদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

আরও পড়ুনঃ  কক্সবাজার সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতা নিহত

নিহতের বাবা ইব্রাহিম হোসেন জানান, গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে তার ছেলে আন্দোলন করেছে। উপজেলা সমন্বয়করা তার সঙ্গে ছিল।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রথম থেকেই অংশগ্রহণ করে মাহিম হোসেন। ৪ আগস্ট সঙ্গীদের ডাকে সাড়া দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে যোগ দিতে খোকসা উপজেলা সদরে যায়। পরে পুলিশের বাধার মুখে সঙ্গীদের ছেড়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে বাসে ওঠে। কুমারখালীতে গিয়ে বাস থেকে নেমে সেখানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেয় সে। আন্দোলনের একপর্যায়ে পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেলের গ্যাসে মারাত্মকভাবে আহত হয় মাহিম। এতদিন চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রক্তবমি আর শ্বাসকষ্টে মারা যায় সে।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প

নিহত মাহিমের বন্ধু জুয়েল ও রফিক জানান, আন্দোলনের শুরু থেকে মাহিম তাদের গ্রুপে ছিল। অন্য ছেলেদের মতো সেও বাড়িতে না জানিয়ে জেলা ও থানা সদরের কর্মসূচিতে অংশ নিত।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে। তবে কী কারণে মারা গেছে সেটি বলতে পারছি না। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব না।

খোকসা থানা পুলিশের ওসি আননূর জায়েদ বলেন, আহত একজন ছাত্র মারা গেছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুনঃ  সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ৪ জন আটক

সর্বশেষ সংবাদ