Friday, January 10, 2025

সমন্বয়ক পরিচয়ে সুবিধা চাইলে আইনের হাতে সোপর্দ করুন: হাসনাত

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। কেউ যদি সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের নামে বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা চায়, আপনারা তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করুন। কারণ, বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দাবি করার কোনো অধিকার সমন্বয়ক বা সহ-সমন্বয়কদের নেই।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ‘স্ট্যান্ড উইথ দ্য ইনজুরড’ কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে আহতদের দেখতে যান। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় তারা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আরও পড়ুনঃ  জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আন্দোলনে আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা না হওয়া এবং তাদের আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে না পারাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, বেশ কিছুদিন হয়ে গেছে। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত আহতদের আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে না পারা এবং তাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে না পারাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই। সরকারের উচিত ছিল শুরুতেই আহত ও শহীদদের জন্য ‘অনশট সল্যুশন’ নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুনঃ  আমি আর কোনোদিন আন্দোলনে যাব না : সমন্বয়ক জাহিদ

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, আপনারা সরকার হয়েছেন যারা আহত কিংবা শহীদ হয়েছে তাদের ত্যাগের বিনিময়ে। তাই অন্যান্য পলিসি গ্রহণের আগে প্রথম এবং প্রধান কাজ তাদের বিষয়টি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করা এবং তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। আমরা আর ব্লেমিং-ট্যাগিং শুনতে চাই না। আমরা দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই। এ বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ দেখতে চাই। আমরা মনে করি তাদের জবাবদিহিতার জায়গায় আনার সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  বন্যার্তদের জন্য ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের

তিনি আরও বলেন, আমরা ছাত্রদের পক্ষ থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের কিন্তু কোনো অথরিটি নেই। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, হাসপাতালে ছুটে যাওয়া পুরোটাই স্বেচ্ছাসেবী কাজ। সরকারের কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত ছিল যত দ্রুত সম্ভব দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া।

সর্বশেষ সংবাদ