Monday, August 18, 2025

দাড়ি-গোঁফ কামানো ছবিটি কি ‘দরবেশের’?

আরও পড়ুন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া দাড়ি-গোঁফ শেভ করা ছবিটি ‘দরবেশ’ নামে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসকারি খাত, শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের। রাতে গ্রেফতারের পর ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। তবে কোস্টগার্ড ছবিটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, নৌপথে পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর সালমান এফ রহমানের বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সৃষ্টি হয় বিভ্রান্ত। ছবিতে সালমান এফ রহমানকে দাড়ি-গোঁফ কামানো অবস্থায় দেখা যায়। সেই সঙ্গে চোখে চশমা, গায়ে গেঞ্জি ও পরনে লুঙ্গি। ফেসবুকে কেউ বলছেন ছবিটি সালমান এফ রহমানের। আবার কেউ বলছেন, এটি সালমান এফ রহমান হতে পারে না। এই নিয়ে হয় বিভ্রান্ত। শেষমেশ কোস্টগার্ড ছবিটি সত্য নিশ্চিত করেছে।

আরও পড়ুনঃ  ভ্যানে তোলার সময় আ. লীগ নেতার ওপর ডিম-জুতা-ঝাড়ু নিক্ষেপ

কোস্ট গার্ডের একটি টিম সদরঘাট পাগলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ২০০৬-২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও ঋণখেলাপিসহ নানা অভিযোগে জেলে গিয়েছিলেন সালমান এফ রহমান। এরপর বের হয়ে নাম জড়ান ২০১০-১১ সালের শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারিতে। এতকিছুর পরও তাকে স্পর্শ করার সাহস হয়নি কারও। তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ব্যবসায়ীদের জোরপূর্বক গণভবনে নিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রীর পাশে আছি’ বলে বক্তব্য রাখানোর অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ  বেয়াইনকে কুপ্রস্তাব বেয়াইয়ের, অতঃপর...

মূলত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সালমান এফ রহমান। শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক, ব্যবসায়ী নেতার পর ২০১৮ সালে এমপি ও টানা দুইবার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হন।

হাজারো ব্যবসায়ীকে পথে বসানো শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির এক অবিচ্ছেদ্য নাম সালমান এফ রহমান। ২০১০-১১ সালে শেয়ার বাজার ধসের পর এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। কমিটির প্রধান ছিলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। রিপোর্টে তিনি সালমান এফ রহমান থেকে পুজিবাজারকে সতর্ক রাখার পরামর্শ দেন।

রিপোর্টে পুঁজিবাজারে ফিক্সড প্রাইস, বুক-বিল্ডিং, রাইট শেয়ার, ডিরেক্ট লিস্টিং, সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন, প্রেফারেন্স শেয়ারসহ সকল ক্ষেত্রেই অনিয়ম হয়েছে এবং এর সঙ্গে সালমান এফ রহমানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ ছাড়া, তিনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রমাণ পায় কমিটি। অথচ এসব অনিয়মের সঙ্গে সালমান এফ রহমানসহ আরও কয়েকজনের নাম জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুনঃ  খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধা কদরুলের খোঁজ মিলল

সূত্র জানায়, সালমান এফ রহমানের বিভিন্ন অপকর্মের মধ্যে জমি জালিয়াতি অন্যতম। ঢাকার কালিয়াকৈরে সাধারণ মানুষের প্রায় ২৪১ একর জমির জাল দলিল করার মতো প্রতারণার সঙ্গে তিনি জড়িত বলে অভিযোগ আছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ