যশোরে ছেলের শাশুড়িকে (বেয়াইন) উত্যক্ত করায় সিরাজুল ইসলাম কুটি নামের এক ব্যক্তির চোখে আঘাত করে তাকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার বাহাদুর জেস গার্ডেন পার্কের পেছনের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত সিরাজুল ইসলাম কুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার করা হয়েছে। তিনি যশোর শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে।
এদিকে অভিযুক্ত শাপলা বেগম (ছদ্মনাম) নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন। আহত সিরাজুল ইসলাম সম্পর্কে তার মেয়ের শ্বশুর।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে সিরাজুল ইসলাম ছেলের শ্বশুরবাড়িতে যান। এরপর হঠাৎ মারামারি ও কান্নার শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা বাড়ির দুই তলায় উঠে দেখেন, বেয়াই ও বেয়াইন একে অন্যকে লোহার পাইপ দিয়ে মারপিট করছেন। এর মাঝে সিরাজুলের এক চোখ ক্ষতবিক্ষত দেখতে পান। এছাড়া শাপলারও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের দাগ দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের থামান। গুরুতর আহতাবস্থায় সিরাজুলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাপলা নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তি সিরাজুল ও তার স্বজনরা জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে অভিযুক্ত ও তার মেয়ে ও দুলাভাই মনিরুল ডেকে নিয়ে সিরাজুলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এছাড়া চোখেও গুরুতর জখম করেন।
অন্যদিকে শাপলা অভিযোগ করে বলেন, সিরাজুল দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর হামলা চালান। এ সময় তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। তখন তার হাত সিরাজুলের চোখে লাগে। এছাড়া তাকেও মারপিট করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় সিরাজুলের চোখ মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তাকে খুলনায় পাঠানো হয়। এছাড়া শাপলাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।