কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে চলমান সহিংসতায় অনেকে প্রাণ হারায়। এ সহিংসতায় ঢাকার দুটি হাসপাতালের তিনটি মর্গে এখনো পড়ে আছে নিহত ২০ জনের মরদেহ।
পড়ে থাকা লাশগুলো বিকৃত হয়ে যাওয়ায় পরিচয় বোঝা যাচ্ছে না, কেউ খোঁজ করতেও আসছেন না। থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় করা যাচ্ছে না সুরতহাল। লাশগুলো পচে ফুলে গেছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আটটি, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নয়টি এবং শেরেবাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে তিনটি মরদেহ রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের নয়টি মরদেহের দুটি উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে, তিনটি মরদেহ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে এসেছে। পুলিশ হাসপাতাল থেকে আসা তিনটি মরদেহ পুলিশের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের ডোম রামু চন্দ্র দাস বলেন, বডিগুলো চেনার কোনো উপায় নাই। প্রত্যেকটাই ফুলে গেছে।
আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। এসব মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয়েছিল।
২৬ জুলাইয়ের পর আর কোনো মরদেহ অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের দাফন সেবা কর্মকর্তা কামরুল আহমেদ বলেন, বিষয়টি অফিস আওয়ারে বলতে পারব। কাল অফিসে আসেন।