চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে দমনে সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে গভীর রাতে ক্যাম্পাসে হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) গভীর রাতে এ হামলার আশঙ্কা রয়েছেন তারা।
কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৮টায় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসে একটি জরুরি সভা হয়। সেখানে গভীর রাতে কুবি ক্যাম্পাসে হামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। সে আলোকে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগ পূর্ণ প্রস্তুতিও নিচ্ছে বলে জানা যায়। এ খবরটি রাত ৯টার দিকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রায় ২০০ বাইক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কুমিল্লা শহরে জড়ো হচ্ছে।
এ বিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সোহেল বলেন, আমাদের ওখানে কাজ কী? আমরা আমাদের এলাকায় আছি, আমরা ওখানে গিয়ে কী করবো? এটা আমাদের ইউনিটেও পড়ে না, সংসদীয় আসনেও পড়ে না। আমরা ওখানে কী করবো!
হামলার আশঙ্কার বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমিও এরকম কথা শুনেছি। এরপর আমি ওসির সঙ্গে চারবার কথা বলেছি। উনি কনফার্ম করেছে ওরা আসবে না। তারপরও পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছে।
যদি হামলা করে তবে এর দায়ভার নেবেন কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ওসি আমাকে কনফার্ম করছে এরকম কোনো কিছু হবে না।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ওসি মো. আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা এমন কোনো মেসেজও পায়নি। তবে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবো এবং নজরদারি বাড়াবো।
প্রসঙ্গত, গতকাল সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আজ সারাদেশে কোটা আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। সেই মিছিলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন স্কুলকলেজের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩ ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।