Friday, January 10, 2025

১২০ কিমি বেগে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়

আরও পড়ুন

এবার দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে শুক্রবারের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পরে। এরপর ২৫ মে রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে (রেমাল)।

ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার পর উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যার মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে পৌঁছাবে। ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডব চালাতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ কোন দিকে তা এখন স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

এদিকে ভারতের আবহাওয়াবিদ মনিকা শর্মা বলেন, ক্রমশ এই ঘূর্ণিঝড় এগোবে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ-সংলগ্ন উপকূলবর্তী অংশে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১০২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। সমুদ্র উপরিভাগের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি থাকলে সাধারণত ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি হয়। এ ক্ষেত্রে বঙ্গোপসাগরের উপরিভাগের তাপমাত্রা রয়েছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুনঃ  উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করা ১০০ কোটি মানুষের জন্য দুঃসংবাদ, রয়েছে বাংলাদেশও

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর সবশেষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সামান্য উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  সন্ধ্যার মধ্যে দেশের পাঁচ অঞ্চলে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, লঘুচাপটি আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে শনিবার বা রোববারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, নিম্নচাপ না হওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় হবে বা এর গতিপথ কেমন হবে তা বলা যায় না। নিম্নচাপে পরিণত হলেই স্পষ্টভাবে লোকেশন বলা যায়।

বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেলের বরাত দিয়ে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ‌ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার আশঙ্কা আছে। আবার সরাসরি খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়েও স্থলভাগে আঘাত করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর নামকরণ করেছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ বালি। এই নামে ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে একটি শহরও রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সুন্দরবনের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল দেশের উপকূল। এর আগে ২০০৯ সালের মে মাসেই সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল প্রলয়ংকরী আইলা।

সর্বশেষ সংবাদ