Wednesday, July 9, 2025

এবার আরেক জেলায় বন্যার আশঙ্কা

আরও পড়ুন

টানা দুদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে হু হু করে বাড়ছে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গোমতীর চরে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার কয়েকটি উপজেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে গোমতী নদীর পানি ৮ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। যা বিপৎসীমার ৩ মিটার নিচে। গোমতী নদীর বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার।

আরও পড়ুনঃ  ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, ৫-১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আকস্মিক ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে গত ২৪ ঘণ্টায় গোমতীর পানি ৫ মিটারের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। কুমিল্লা অঞ্চলের পাশাপাশি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ওই রাজ্যের পানি গোমতী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুমিল্লা অংশের দিকে নামছে।

কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খাঁন মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান জানিয়েছেন, নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে এবং এখনই সবাইকে সতর্ক থাকার সময়। বৃষ্টি থেমে গেলে এবং উজানের ঢল বন্ধ হলে বিপদ কাটতে পারে। নতুবা বন্যার শঙ্কা রয়ে যাবে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

আরও পড়ুনঃ  দুপুরের মধ্যে ২ অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

অপরদিকে কুমিল্লা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল ৩টা থেকে আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একটি ভারী বর্ষণের সংকেত রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে বন্যার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আমাদের ৫৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও জিআর চাল মজুত আছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

আরও পড়ুনঃ  ৫ বিভাগে দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোমতী নদীর বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া, টিক্কার চর, চানপুর ব্রিজ ও সংরাইশ এলাকায় নদীর তীরবর্তী কিছু চরাঞ্চল ইতোমধ্যেই পানিতে তলিয়ে গেছে।

সর্বশেষ সংবাদ