Sunday, July 20, 2025

হঠাৎ পাকিস্তানে তুর্কি যুদ্ধজাহাজ

আরও পড়ুন

দুই দেশের মধ্যে সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে তুরস্কের একটি নৌ জাহাজ, টিসিজি বুয়ুকাদা, পাকিস্তানে পৌঁছেছে। এখবর জানিয়েছে পাকিস্তানের নৌ বাহিনী। পাকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে।

তুর্কি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো পাকিস্তানের অগোস্ত ৯০বি-শ্রেণীর সাবমেরিন আধুনিকীকরণে সহায়তা করেছে এবং ইসলামাবাদে ড্রোনসহ সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।

দুই দেশ নিয়মিতভাবে যৌথ সামরিক মহড়া করে। আন্তঃকার্যক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি আতাতুর্ক-XIII মহড়ায় দুই দেশের বিশেষ বাহিনী অংশগ্রহণ করেছিল। পাকিস্তান নৌবাহিনীর জনসংযোগ অধিদপ্তর (ডিজিপিআর) জানিয়েছে, করাচি বন্দরে পৌঁছানোর পর উভয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা তুর্কি নৌ জাহাজটিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

আরও পড়ুনঃ  আগামী দুই মাসের মধ্যেই মারা যাবেন বাইডেন?

ডিজিপিআর বলেন, করাচিতে অবস্থানকালে টিসিজি বুয়ুকাদার ক্রুরা পাকিস্তান নৌবাহিনীর কর্মীদের সাথে একাধিক বিষয়ে মতবিনিময় করবেন। এই সফরের লক্ষ্য দুই নৌবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি এবং সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদার করা।

গত ২২শে এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। নয়াদিল্লি এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে।

ইসলামাবাদ জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে এবং এই হামলার জন্য বিশ্বাসযোগ্য আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।হামলার পর থেকে উভয় দেশই কাশ্মীর সীমান্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি বিনিময় করেছে। অন্যদেশের নাগরিকদের বহিষ্কার করেছে এবং তাদের স্থল সীমান্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণে ভারত, যা বলছেন বিশ্লেষকরা

পাকিস্তান এবং ভারত উভয় বাহিনীই তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য সামরিক মহড়া চালিয়েছে, অন্যদিকে পাকিস্তান ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।

পাকিস্তানের আশঙ্কা, ভারত কাশ্মীর হামলার অজুহাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমিত আক্রমণ চালাতে পারে। ইসলামাবাদ যখন এই ইস্যুতে তাদের অবস্থান তুলে ধরার জন্য সক্রিয় কূটনীতিতে নিযুক্ত, তখন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডঃ ইরফান নেজিরোগলু প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সাথে দেখা করেন এবং পাকিস্তানের প্রতি আঙ্কারার সমর্থন প্রকাশ করেন। শনিবার শরীফের কার্যালয় এখবর জানিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  হোলির সময়ে মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরির মসজিদে আসলে কী ঘটেছিল?

ডিজিপিআর বলেন, টিসিজি বুয়ুকাদার শুভেচ্ছা সফর পাকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামুদ্রিক সহযোগিতার প্রমাণ। এটি দুই দেশের মধ্যে গভীর পারস্পরিক বিশ্বাস এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রতিফলন যা শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ