Sunday, August 17, 2025

যে কারনে ইসলামে আল-আকসা গুরুত্বপূর্ণ

আরও পড়ুন

আল আকসা মসজিদ, যার অর্থ ‘সবচেয়ে দূর’, মক্কা ও মদিনার পর মুসলিমদের জন্য তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান হিসেবে পরিচিত। এটি পবিত্র নগরী জেরুজালেমের পাহাড়ে অবস্থিত এবং মুসলিমদের কাছে ‘হারাম আল-শরীফ’ নামেও পরিচিত।

কথিত আছে যে, ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.) এখানে প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন। পরে, 705 খ্রিস্টাব্দে একটি বৃহত্তর মসজিদ নির্মাণ করা হয়, তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এটি দুটি দফা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বেশ কয়েকটি সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ কাজের মাধ্যমে মসজিদটি বর্তমান আকারে দাঁড়ায়।

আরও পড়ুনঃ  নতুন চাঁদ দেখার পর যে দোয়া পড়বেন

মসজিদুল আকসা আসলে একক মসজিদ নয়, এটি অন্তত তিনটি মসজিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রাঙ্গণ। এই প্রাঙ্গণটি প্রায় 14 হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত, যেখানে বায়তুল মুকাদ্দাস, কিবলি মসজিদ, মারওয়ানী মসজিদ এবং বুরাক মসজিদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে আল কিবলি মসজিদটি মুসলমানদের সবচেয়ে প্রাচীন এবং সর্বাধিক আলোচিত মসজিদ হিসেবে বিবেচিত হয়।

মসজিদুল আকসার কেন্দ্রে অবস্থিত ‘ডোম অফ দি রক’ (কুব্বাতুস সাখরা) একটি সোনালী গম্বুজ আকৃতির স্থাপনা, যা তার আভা এবং অলঙ্করণের জন্য বিখ্যাত। এটি ইসলামী ও বাইজেন্টাইন স্থাপত্য শৈলীর মিশ্রণ হিসেবে নির্মিত। গম্বুজের নিচে থাকা পাথরটি এই স্থাপনার মূল কেন্দ্রে অবস্থিত এবং এর সাথে রয়েছে ইসলামের ঐতিহাসিক গুরুত্ব।

আরও পড়ুনঃ  জন্মাষ্টমীর ব্যয় কমিয়ে বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ দেবে পূজা উদযাপন পরিষদ

পবিত্র কোরআনে আল আকসা মসজিদকে বরকতময় ও পবিত্র ভূমি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে বহু নবী ও রাসূল ইসলামের দীক্ষা গ্রহণ করেছেন এবং এটি ইসলামী সংস্কৃতি ও সভ্যতার আদিকেন্দ্র হিসেবে খ্যাত। প্রতিবছর আল আকসা প্রাঙ্গণে বহু মুসলিম ধর্মানুসারী জড়ো হন, তবে বর্তমানে হামাসের সাথে সংঘর্ষের কারণে এখানে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার বেশ সীমিত করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ