গণ-অভ্যুত্থানের পর হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একাংশ কারাগারে, বাকিরা পলাতক। জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান অনুযায়ী হত্যাযজ্ঞে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগী ছিল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো। অন্তর্বর্তী সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের পরিত্যাগ করে ১৫ বছরের সকল অপকর্মের জন্য দায় উন্মোচন করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে যারা নির্বাচনে আসতে চান, তাদের আসতে দেয়া হবে।
অতীতে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেছে, সরকারের এমন একজন উপদেষ্টাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে এর সমান্তরালে আরেকটি প্রচেষ্টা চলছে৷ শেখ হাসিনার বদলে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনা। রাজনৈতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনার মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে এ দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে আলোচনা আছে। তবে তিনি বিদ্রোহী হতে রাজি নন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে শুধু সাবের হোসেন চৌধুরী ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জামিন পেয়েছেন। রিমান্ড চলাকালে সাবের হোসেন একদিনে ৬ মামলায় জামিন পাওয়ায় গত অক্টোবর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে, তিনি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিতে পারেন। তার সঙ্গে কথা বলা একজন রাজনৈতিককে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা অনুমোদন দিলে এটা হতে পারে। আর সরকারকে দিতে হবে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শেখ হাসিনা ঐক্যের প্রতীক, নতুন নেতৃত্বের প্রশ্নই আসে না। একাধিক রাজনীতিবিদ জানিয়েছেন, পরিশোধিত আওয়ামী লীগ হতে হবে হাসিনার অনুমোদনে। সময় ও সুযোগ অনুকূলে এলে পরিশোধিত আওয়ামী লীগে ফিরতে পারেন হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যরা। তাই এতে রাজি নয় সরকার, ছাত্রনেতা ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। তাদেত মূল্যায়ন বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ গঠিত হলে তা হবে স্থায়ী বিভক্তি। বিদ্রোহী অংশ মূলদল হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও কখনোই সেখ হাসিনার সমর্থকদের সমর্থক পাবেন না। ফলে এই দল অন্যদের জন্য তেমন হুমকি হতে পারবে না।
এদিকে সোহেল তাজকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীরা। এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে জানান, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নামে ফিরবে দলটি, যার নেতৃত্বে থাকবে সোহেল তাজ ও সাবের হোসেন চৌধুরী।
তবে রাজনীতিতে ফেরার কথা অস্বীকার করেছে সোহেল তাজ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে তিনি বলেন, আমাকে একা ছেড়ে দেন; আমার বাংলাদেশের এই নোংরা পচা নষ্ট রাজনীতিতে আসার কোন ইচ্ছা বা আগ্রহ নাই।