জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীনের মন্তব্য করেছেন, “শেখ হাসিনার পিয়ন সম্পর্কে ৪০০ কোটি টাকার খবরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছুদিন আগেই আমরা দেখলাম, বিভিন্ন ব্যাংকে শেখ হাসিনার নামে মাত্র ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা রয়েছে। অথচ এখন তার পিয়নের সাথে ৪০০ কোটি টাকার সংশ্লিষ্টতা দেখা যাচ্ছে। এখানে একটি বড় অসঙ্গতি রয়েছে।
প্রশ্ন হলো, একজন পিয়ন কীভাবে ৪০০ কোটি টাকা নিয়ে যেতে পারে? পিয়নের তো কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নেই, সে কারো আদেশ ছাড়া এত বড় অঙ্কের টাকা হস্তান্তর করতে পারে না। এটা স্পষ্ট যে, টাকা পাচারের একটি সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা এখানে কাজ করেছে। যারা দেশ থেকে টাকা পাচার করে, তাদেরই সমর্থনে এই লেনদেন হয়েছে।
আমরা দেখি, শেখ হাসিনাকে টিভি দেখতে, মাছ ধরতে বা সাধারণ কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। কিন্তু এর আড়ালে কী চলছে? পিয়নের মাধ্যমে এত বড় অঙ্কের টাকা সরানো হচ্ছে—এটা কি সাধারণ কোনো ঘটনা? অবশ্যই না। এখানে একটি গভীর ষড়যন্ত্র ও অর্থপাচারের মেকানিজম কাজ করছে।
এই ৪০০ কোটি টাকা আসলে কার জন্য? পিয়ন তো নিজে এই টাকা রাখেনি। নিশ্চয়ই এটি কোনো ক্ষমতাবান ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয় যে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও সম্পদের কীভাবে অপব্যবহার করা হচ্ছে।”