আস্থার সংকট কাটিয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দুর্বল ব্যাংকগুলো। টাকা জমা দেওয়ার পাশাপাশি নতুন করে হিসাবও খুলছে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকাররা বলছেন, আশঙ্কা থাকলেও আগের মতো সংকট নেই। ব্যাংকে টাকা তুলতে এসে এখন আর কেউ খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন না। বিশ্লেষকরা বলছেন, আস্থা বাড়াতে সংস্কারের পাশাপাশি খেলাপি ঋণ আদায়ে জোর দিতে হবে।
গতবছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দায়িত্ব নেয় অন্তবর্তী সরকার। এরপর নতুন গর্ভনর দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্বল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে গঠন করা হয় নতুন পর্ষদ। প্রথম দিকে দেওয়া হয় তারল্য সহায়তা। পরে ৬টি দুর্বল ব্যাংককে টাকা ছাপিয়ে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ধার দেয় ব্যাংলাদেশ ব্যাংক। এমন বাস্তবতায় দুর্বল কয়েকটি ব্যাংক ঘুরে দাঁড়িয়েছে। টাকা উত্তোলনেও কমেছে ভোগান্তি।
গ্রাহকেরা বলছেন, কয়েকদিন আগেও টাকা চাইলে পুরোটা দিতে পারত না ব্যাংকগুলো। তবে এখন যে পরিমাণ টাকা চাওয়া যায়, তাই দেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছেমতো টাকা জমাও দেওয়া যাচ্ছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির শাখা ব্যবস্থাপক তাহুরুল হক বলেন, ‘আগে মানুষ ডিপিএসের কিস্তি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এখন তাঁরা সেগুলো নতুন করে আবার জমা দিতে শুরু করেছেন।’
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি শাখা ব্যবস্থাপক এম এ মোতালিব বলেন, ‘শ্রমিকদের বেতন, ইউটিলিটি বিলসহ গ্রাহকেরা নানা কারণে যে পরিমাণ টাকা চাচ্ছে আমরা তা দিতে পারছি।’
দুর্বল ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, লেনদেন স্বাভাবিক হচ্ছে। এমনকি ছোট ঋণও দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ‘ব্যাংকের শাখাগুলো এখন ভালোভাবে চলছে। শাখাগুলোকে এরই মধ্যে ছোটখাট লোন দেওয়ার ব্যাপারে বলা হয়েছে। মানুষ ইচ্ছেমতো টাকা জমা-উত্তোলন করতে পারছেন।’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘লোন দেওয়া শুরু হলে সঠিকভাবে কিস্তি আদায় করতে হবে। লোনের টাকা বাইরে চলে গেলে যদি কিস্তি ঠিকমতো না আসে তাহলেই তারল্য সংকট দেখা দেয়।’