Monday, August 18, 2025

কতদিন এবং কেন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন সারজিস, জানালেন নিজেই

আরও পড়ুন

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম নিজেই জানালেন কতদিন এবং কেন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়। একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

উপস্থাপকের প্রশ্ন ছিল, আপনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে কতদিন জড়িত ছিলেন?

উত্তরে সারজিস বলেন, শেখ হাসিনা রেজিমের সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ হলে থাকবে আর ছাত্রলীগের রাজনীতি করবে না, মানে প্রোগ্রাম-গেস্টরুম করবে না এইটা কোনদিন সম্ভব না। ২০১৭ সালে আমি প্রথম বর্ষে ভর্তি হই, তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত এটা একদম বাধ্যতামূলক থাকে, আপনার করতেই হবে।

আরও পড়ুনঃ  আ. লীগের নামে নিবন্ধন ও প্রতীক নৌকা চেয়ে ইসিতে আবেদন

সারজিস জোরালো ভাবে বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে হলে থাকবে, আর কেউ গেস্টরুম-প্রোগ্রাম করবে না এটা সম্ভব ছিল না। কেউ যদি বলে হলে থেকেও এইসব করে নাই, সে মিথ্যা বলে। তৃতীয় বর্ষে যখন ডাকসু হলো, তখন আমার একটিভ রাজনীতি থেকে আমি সরে আসি এবং ২২ সালে আমি ঘোষণা দিয়ে সরে আসি। আমি যখন ডাকসুতে নির্বাচিত হই, তখন আমার একটা বিবেকের তাড়না তৈরি হয়েছিল। হল সংসদে আমাকে সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল শিক্ষার্থীরা, আমার একটা জবাবদিহিতার জায়গা আছে।

আরও পড়ুনঃ  বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, আসছে নতুন ঘূর্ণিঝড়

বিবেকের তাড়নায় ছাত্রলীগ বলেন, আওয়ামী লীগ বলেন সবকিছু থেকে সরে আসি। আমার টাইমলাইনে এখনো আছি। আমি সবসময় বিরোধী দলগুলোর মতো করে সমালোচনা করতাম।

সারজিস আরো স্পষ্ট করে বলেন, ছাত্রলীগের আমার কোন সময়ে কোন পোস্ট ছিল না। হল, বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্র কোন জায়গায় আমার কখনোই পোস্ট ছিল না। যারা কর্মী ছিল সাধারণ, আমিও তাদের মতই একজন ছিলাম। সমস্যা হয়েছে, আমি ডাকসুতে যে নির্বাচিত হই ওইটা ছাত্রলীগের প্যানেল ছিল। ১৩ জনের মধ্যে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ৭জন নির্বাচিত হয়েছিল, তার মধ্যে আমি একজন ছিলাম, বাকিরা নির্বাচিত হয়নি।

আরও পড়ুনঃ  অতি শীঘ্রই চূড়ান্ত ডাক দিচ্ছি : সমন্বয়ক কাদের

যার নেতৃত্ব গুণাবলি, যোগ্যতা ছিল তারা নির্বাচিত হয়েছিল। অন্য হলগুলোর কথা বলতে পারব না, তবে অমর একুশে হলে ফেয়ার নির্বাচন হয়েছিল। এইটার জায়গা থেকে আমাকে ছাত্রলীগের বড় নেতা বানানো হয়। কিন্ত আমার ছাত্রলীগের সরাসরি কোন পোস্ট ছিল না।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ