জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ১৪২ জন নেতাকর্মীর তালিকা প্রকাশ করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। সম্প্রতি সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই তালিকা প্রকাশ করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন অনেক নেতাকর্মী। কিন্তু এ তালিকায় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে কোনোভাবে সম্পৃক্ততা ছিলেন না, এমন একাধিক শহীদের নাম এসেছে।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মুখে জুলাইয়ে শহীদ তালিকাটি ফেসবুকে শেয়ার করা করার পর সরিয়ে নিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অসঙ্গতির এই বিষয়টি পুনরায় খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
“বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের দুইটা এক্সপার্ট টিম তালিকা তৈরিতে কাজ করেছে। যাদের নাম তালিকায় আছে সবার পরিবারের সাথে কথা বলেই আমরা নাম সংযুক্ত করেছি। তারপরেও যে অসঙ্গতির আলোচনাগুলো আসছে সেগুলো আমাদের টিম খতিয়ে দেখছে-নাছির উদ্দিন নাছির, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া ১৬ পৃষ্ঠার তালিকাটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পদবীসহ ছাত্রদল নেতা; শুধু ছাত্রদল নেতা; ছাত্রদল নেতা-পারিবারিকভাবে বিএপির সাথে সম্পৃক্ত; ছাত্রনেতা; ছাত্র-পারিবারিকভাবে বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত— এই ৫টি ক্যাটাগরিতে শহীদদের পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছেন গত ৪ আগস্ট মাগুরায় শহীদ হওয়া ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বীর নাম। এই তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে জুলাই আন্দোলনের দ্বিতীয় ও ছাত্রদলের প্রথম শহীদ চট্টগ্রামের ওয়াসিম আকরামের নাম।
ছাত্রদলের তালিকায় শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নিজে ছাত্রদলের কোনো সাংগঠনিক পরিচয় নেই কিংবা পরিবার বিএনপির সমর্থক নয়, এমন ১২ জনের নাম খুঁজে পেয়েছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। এরমধ্যে রয়েছে শিবির-তাবলীগ নেতাকর্মীর নামও। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শহীদের এই তালিকা প্রকাশের আগে তাদের সাথে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।
তালিকায় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে কোনোভাবে সম্পৃক্ততা ছিলেন না, এমন একাধিক শহীদের নাম এসেছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মুখে জুলাইয়ে শহীদ তালিকাটি ফেসবুকে শেয়ার করা করার পর সরিয়ে নিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অসঙ্গতির এই বিষয়টি পুনরায় খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তালিকায় ১৬ নম্বরে থাকা ইরফান ভূঁইয়াকে রাজধানীর বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শুরু দিক থেকে সেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে। ফলে সেখানকার ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দেওয়া কোনোভাবেই যৌক্তিক না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি সূত্র।
তালিকার ৩৯ নম্বরে কক্সবাজারের নুরুল মুস্তফার নাম রয়েছে। তাকে ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়েছে। তবে তিনি ছাত্রদলের সাথে যুক্ত এরকম কোনো কথা তার এলাকাবাসী জানে না বলে জানিয়েছেন সেখানকার সৈয়দ তানভির হাসান জাহিন নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। শহীদ নুরুল মুস্তফা স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র।
জাহিন ফেসবুকের এক পোস্টে জানান, ছাত্রদল তাদের শহীদদের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকার ৩৯ নম্বর শহীদ নুরুল মুস্তফা আমার এলাকা ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ এর। ঈদগাঁওতে মূলত আন্দোলন হয়েছে ৩ দিন। মুস্তফা স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র। সে ছাত্রদলের সাথে যুক্ত এরকম কোনো কথা তার এলাকাবাসী জানে না।
তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছেন গত ৪ আগস্ট মাগুরায় শহীদ হওয়া ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বীর নাম। এই তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে জুলাই আন্দোলনের দ্বিতীয় ও ছাত্রদলের প্রথম শহীদ চট্টগ্রামের ওয়াসিম আকরামের নাম।
তালিকায় ৫৪ নম্বরে গুলশান কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়া শিক্ষার্থী মো. রায়হানের তথ্য রয়েছে। সেখানে ছাত্র এবং পারিবারিকভাবে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে এই শিক্ষার্থীর।
জানা যায়, রায়হান গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় পুলিশের গুলিতে মারা যান। তিনি বাড্ডা দক্ষিণ থানা ছাত্রশিবিরের সাথী প্রার্থী। ছিলেন বৈঠাখালী উপশাখার সভাপতি।
বিষয়টি নিয়ে মো. রায়হানের চাচা মোফাজল হোসেন রাসেল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ভাতিজা কখনোই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। তিনি ছাত্রশিবির করতো এবং তিনি ছাত্রশিবির সাথী প্রার্থী ছিলেন। এছাড়াও শহীদের তালিকায় নাম প্রকাশের আগে আমাদের সাথে দলটির পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।
৫৬ নম্বরে থাকা ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ একজন কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারি ম্যান। তবে তালিকায় পদবীসহ ছাত্রদল নেতা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। ঢাবির রহমত উল্লাহ রবিন নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লেখেন, প্রকাশিত শহীদের তালিকায় রিয়াজকেও ছাত্রদল নেতা এবং শহীদ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে সে ছিল একটা কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারি ম্যান। এই লাশের রাজনীতির শেষ কোথায়!
তালিকার ৬৫ নম্বর মো. সাহর মিয়া কুমিল্লার দ্বেবিদার উপজেলা ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়েছে। তিনি ঢাকায় বাবার সঙ্গে ফেরি করে সবজি বিক্রি করতেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে শরিফ সাইদুর নামে ফেসবুকে একজন লেখেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাত্রদলের শহীদদের একটা তালিকা দিয়েছেন। যেটা আশঙ্কা করেছিলাম তাই হয়েছে৷ আমাদের পাড়ার ছেলে, যে স্কুলের পড়া ছেড়ে ঢাকায় বাবার সাথে সবজি বিক্রি করতো। সেই কিশোরকে উপজেলার ছাত্রদল নেতা বানিয়ে দিয়েছে। অথচ ছেলেটা গ্রামেই থাকতো না। ঢাকায় ফেরি করে সবজি বিক্রি করতো। খুবই লজ্জাজনক ঘটনা।
তালিকায় ৬৯ নম্বরে থাকা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ুমের পরিচয়ে ছাত্রনেতা এবং পারিবারিকভাবে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
তবে তার পরিবার এবং ঘনিষ্ঠজনেরা এ দাবিকে অস্বীকার করেছেন। শহীদ কাইয়ুমের মা বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। পড়াশোনা, টিউশন আর নামাজ-রোজা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আমাদের পরিবার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়।’
অন্যদিকে, তাবলীগ জামাতের সাথীরা জানিয়েছেন, কাইয়ুম তাবলীগের নিয়মিত একজন কর্মী ছিলেন এবং মাওলানা সাদ কান্ধালভীর অনুসারী ‘সাদপন্থী’ তাবলীগ জামায়াতের সাথে যুক্ত ছিলেন।
৮৮ নম্বরে থাকা শহীদ মো. খুবাইব একজন মাদ্রাসা ছাত্র। তার পরিচয়ে ছাত্রদলের নেতা লেখা হয়েছে। তিনি যাত্রাবাড়ী জামিয়া ইবরাহিমিয়া ইসহাকিয়া কাজলার পাড়-এর মুহতামিম মাওলানা আবদুর রহমান উজানী সাহেবের ছোট ছেলে। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন এবং তার বাবা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই বলে জানা গেছে।
তালিকায় ১০৫ নম্বরে নরসিংদীর শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূঁইয়ার তথ্য রয়েছে। সেখানে ছাত্রদলের সদস্য এবং পারিবারিকভাবে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে এই শিক্ষার্থীকে। তবে ছাত্রদলের দাবি সত্য নয় জানিয়েছন তাহমিদের বাবা-মা।
তাহমিদের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে তাহমিদ কিংবা আমার পরিবারের কেউই কোনো রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত নই। তাহমিদ নিজেও আন্দোলনে যাওয়ার কয়েকদিন আগে একটি খাতায় লিখে গেছে, সে কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। সেই খাতা এখনো বাড়িতে আছে।
তালিকায় ১২৭ নম্বরে থাকা মো. আদিল নামে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ১০ শ্রেণির ছাত্র। পরিচয়ে ছাত্রদল নেতা এবং পারিবারিকভাবে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে এই শিক্ষার্থীকে। তবে তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মিল্লাত শাখা শিবিরের কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহ।
“আমি আগেও বলেছি আবারো বলছি আমার ভাই শহীদ ফারহান ফাইয়াজ কোনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। সে একজন সাধারণ ছাত্র হিসেবেই অংশ নিয়েছিল জুলাই অভ্যুত্থানে। শহীদদের নিয়ে রাজনীতি করা দয়া করে বন্ধ করুন আপনারা প্লিজ-শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বোন সাইয়েমা ফারিন
তাছাড়া তার বাবা আবুল কালাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৪৬নং ওয়ার্ডের একটি ইউনিটের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছাত্রদলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তালিকায় আমার ছেলের নাম থাকায় তার প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমার ছেলে ছাত্রশিবিরের একজন কর্মী।
তালিকায় ১২৮ নম্বরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেলে কলেজের ছাত্র ফারহান ফাইয়াজের নাম রয়েছে। সেখানে ছাত্র এবং পারিবারিকভাবে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে এই শিক্ষার্থীকে।
শহীদ ফারহান ফাইয়াজকে নিয়ে তার বোন সাইয়েমা ফারিন ফেসবুকের এক পোস্টে লিখেন, আমি আগেও বলেছি আবারো বলছি আমার ভাই শহীদ ফারহান ফাইয়াজ কোনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। সে একজন সাধারণ ছাত্র হিসেবেই অংশ নিয়েছিল জুলাই অভ্যুত্থানে। শহীদদের নিয়ে রাজনীতি করা দয়া করে বন্ধ করুন আপনারা প্লিজ।
তালিকায় ১২৯ নম্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদ তথ্য রয়েছে। সেখানে ছাত্রনেতা এবং পারিবারিকভাবে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে এই শিক্ষার্থীর। ছাত্রদলের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহান প্রামাণিক বলেন, সাজিদ ভাই যখন হসপিটালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তখন তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য তো বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে পাওয়া যায়নি। তিনি যখন না ফেরার দেশে চলে গেলেন, কই তার পরিবারের পাশে বিএনপির কাউকে তো দাঁড়াতে দেখলাম না। তখন পাশে দাঁড়ালেন না, এখন আসছেন শহীদের রক্তের আর লাশের ভাগাভাগি করতে?
তিনি আরও জানান, শহীদ সাজিদ ভাই জগন্নাথের, সাজিদ ভাই বাংলাদেশের। একজন শহীদকে নিয়ে মিথ্যাচার করা জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদদেরকে অপমান করার সমতুল্য। যে মানুষটা দেশের জন্য, দেশ থেকে স্বৈরাচার পতনের জন্য বুলেটের সামনে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন,তাকে নিয়ে এমন ঘৃণিত রাজনীতি করতে লজ্জা করে না মির্জা ফখরুল সাহেব?
তালিকায় ১৩৭ নম্বরে থাকা নাহিদুল ইসলামমে ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। তার এ তালিকার এই তথ্য শেয়ার করে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদ্য সাবেক সাহিত্য সম্পাদক নুরুল ইসলাম নূর এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, শহীদ নাহিদুল ইসলাম ছিল ছাত্রশিবির দৌলত খান থানা শাখার সেক্রেটারি। তাঁকেও ছাত্রদল নেতা বলে চালিয়ে দিচ্ছে! এমন বিভ্রান্তিকর মিথ্যাচার অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং নিন্দাযোগ্য।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের দুইটা এক্সপার্ট টিম তালিকা তৈরিতে কাজ করেছে। যাদের নাম তালিকায় আছে সবার পরিবারের সাথে কথা বলেই আমরা নাম সংযুক্ত করেছি। তারপরেও যে অসঙ্গতির আলোচনাগুলো আসছে সেগুলো আমাদের টিম খতিয়ে দেখছে।