Monday, August 18, 2025

আ.লীগ ছাড়া সবাইকে নিয়ে আগামী নির্বাচন হবে: আব্দুস সালাম

আরও পড়ুন

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাইকে নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে বিচারের পরেই।’

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আব্দুস সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ফেরত আনতে বিএনপির ঠেকা পড়েনি। বিচারের পরই আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে। আওয়ামী লীগ ছাড়া সব দলকে নিয়ে নির্বাচন হবে। কারণ আওয়ামী লীগ ভারতের দল। গত ১৫ বছর ভারত ঠিক করে দিয়েছে এ দেশে কীভাবে নির্বাচন হবে। এখনও তারা আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।’

আরও পড়ুনঃ  দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জামায়াতের

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাষ্য বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে। আসল সত্যি হলো- বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল না। বিএনপি চাইলে ৫ আগস্টের পর সকল আন্দোলনকারী দলকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে পারতো। কিন্তু করেনি। আমাদের বিশ্বাস ৩, ৬ মাস বা একবছর পর যখনই নির্বাচন দেন না কেন; বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।’

সম্মেলন অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুনসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার জিয়াউর রহমান। পরিচালনায় ছিলেন নির্বাচন কমিশনার তাজমুলতান টুটুল।

আরও পড়ুনঃ  আজ শুক্রবার জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় মাসব্যাপী লিফলেট বিতরণ উদ্ভোবনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আবদুস সালাম। ছবি : এনটিভি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে শুধু দলের নয়, পুরো দেশের দায়িত্ব নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় মাসব্যাপী লিফলেট বিতরণ উদ্ভোবনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুস সালাম এসব কথা বলেন। আবদুস সালাম বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ পায়নি। দেশের মানুষ নির্যাতিত-নিপীড়িত ছিল। আওয়ামী দুঃশাসনের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারেনি। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সব কিছু ধ্বংস করেছে। তাই আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় আসে, আবার সবকিছু ধ্বংস করবে। আর বিএনপি ক্ষমতায় এলে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেবে। আজকে যারা নির্বাচন পেছাতে চায় তারা আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে চায় কিনা তা ভেবে দেখতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে আবদুস সালাম বলেন, আজকে দেশ সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। আর আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে ৩১ দফার মধ্যমে দেশের সব কিছু সংস্কারের কথা অনেক আগেই বলে দিয়েছি। আপনারা দেশের সংস্কারের কথা বলছেন? বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংস্কারের উদাহরণ হলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান যে সংস্কার করেছেন, বাংলাদেশে ওই সংস্কার আর কেউ করতে পারবে না। আবদুস সালাম আরও বলেন, আজকে শেখ হাসিনা বিদায় নিয়েছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো অবস্থান করছে। তাই আপনাদেরকে যার যার এলাকায় সুসংগঠিত হতে হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে আপনাদের বলতে চাই, বিএনপি সব সময় আপনাদের সাথে আছে। আবদুস সালাম বলেন, ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে, মোহাম্মদপুরে অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। সেই বীরদের আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। আমরা গত ১৭ বছরে অনেক নেতা-কর্মী হারিয়েছি। অনেকে আহত হয়েছে। আমাদের যুবদলের নেতা রফিককে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছিল। সে সব ঘটনা আমরা ভুলে যাই নাই। তাই আমরা আওয়ামী দোসরদের বলতে চাই, আর মাঠে নামার চেষ্টা করিয়েন না। এবার আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ইনশাআল্লাহ্, জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। যারা সীমান্তের ওপারে বসে ষড়যন্ত্র করছেন, তারা কী সীমান্তের এপারে আসতে পারবে? এবার আর ভারতে বসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানানো যাবে না, হওয়াও যাবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ ইকবাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম-আহ্বায়ক হাজী ইউসুফ, মহিলা দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা, জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জামাল হোসেনসহ মোহাম্মদপুর, আদাবর এবং শেরেবাংলা নগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মোহনপুর উপজেলা বিএনপির এই সম্মেলনে ছয়টি ইউনিয়নের ৪২৬ জন কাউন্সিলর ছিলেন। এই তিনটি সাংগঠনিক পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১১ জন নেতা। প্রধান অতিথি বক্তব্য দেওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাহবুব আর রশিদ ও কাজিম উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কাজিম উদ্দিনসহ তিন জন আহত হয়েছেন।

সন্ধ্যায় ঘোষিত ভোটের ফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে বিএনপি নেতা শামিমুল ইসলাম মুন, সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুব আর রশিদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বাচ্চু রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ