বিদ্রোহীদের ব্যাপক আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রাজধানী দামেস্ক থেকে পালিয়ে গেছেন। তিনি এখন কোথায় আসেন এ নিয়ে বিশ্ববাসীর ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তবে রয়টাসের্র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাশার আল আসাদ ও তার স্ত্রী আসমা এবং দুই সন্তান কোথায় রয়েছে তা জানা যায়নি।
গত এক সপ্তাহ আগে বিদ্রোহীদের হামলা শুরু হলে আসাদকে জনসম্মুখে আর বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি। গত সপ্তায় আলেপ্পোর উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা দখলে নেয় বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই তারা সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। তাদের সামনে সরকার বাহিনী টিকতে না পেরে পালিয়ে যায়।
সেনাবাহিনীর দুজন সিনিয়র অফিসার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, রোববার (৮ ডিসেম্বর) দামেস্ক ছাড়ার পর বাশার আল আসাদ কোথায় গেছেন তার জানা যায়নি।
ফ্লাইটরাডার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীরা রাজধানী দখলে নেয়ার পরই দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে সিরিয়ার একটি বিমান করে রাজধানী ছাড়েন আসাদ।
আসাদকে বহন করা বিমানটি সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হয়েছে। ওই অঞ্চলটি আসাদ সরকারের শক্ত ঘাঁটি ছিল। তবে এরপরই বিমানটি ইউটার্ন নিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ম্যাপ থেকে হাওয়া হয়ে যায়।
দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর
বাশার আল-আসাদের পতনের কারণ জানালেন ট্রাম্প
ওই বিমানটিতে কে ছিল তাৎক্ষণিকভাবে রয়টার্স তা নিশ্চিত করতে পারেনি। সিরিয়ান দুটি সূত্র জানিয়েছে, সম্ভবত আসাদ সরকার বিমান দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারেন। কারণ ফ্লাইটরাডারের মানচিত্র থেকে তাদের বিমানটি হঠাৎ করে হারিয়ে যায়।
তবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়াতে বিমান দুর্ঘটনার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।