সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষ সাফল্য চায় আর তোমরা আমাদের সেই সাফল্য এনে দিয়েছো।
নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি নারী দলের খেলোয়াড়দের সংগ্রামের কথা প্রধান উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন। সাবিনা বলেন, এই দলের প্রত্যেকেই অনেক বাধা পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন। তিনি যোগ করেন, ‘এটি কেবল নারী ফুটবল দল নয় বরং বাংলাদেশের নারীরা সাধারণত অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে।
সাবিনা সতীর্থ মারিয়া মান্ডার সংগ্রামী জীবনের গল্প উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে বলেন, মারিয়া ময়মনসিংহের বিখ্যাত কলসিন্দুর গ্রাম থেকে এসেছেন, যা সাফজয়ী দলে ছয়জন খেলোয়াড় দিয়েছে। ছোটবেলায় পিতৃহারা মারিয়াকে তার মা বড় করেছেন।
অন্য খেলোয়াড়রাও তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। উইঙ্গার কৃষ্ণা রানী সরকার ঢাকায় তাদের আবাসন সমস্যার কথা বলেন। মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী তার জেলা দিনাজপুরের রানীসংকাইলে খেলার উপযুক্ত মাঠের সংকটের কথা জানান। খাগড়াছড়ির লাকসামছড়ি থেকে উঠে আসা মিডফিল্ডার মনিকা চাকমাও তার এলাকায় খেলাধুলার অবকাঠামোর অভাবের কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এ সময় প্রত্যেক খেলোয়াড়কে তাদের স্বপ্ন, সংগ্রাম, স্বপ্ন ও তাদের দাবিদাওয়া লিখে তার দফতরে জমা দিতে বলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, তাদের চাহিদা অগ্রাধিকারভিত্তিতে পূরণ করার চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তোমাদের যা কিছু চাওয়ার আছে, তা বিনা দ্বিধায় লিখে পাঠাও। আমরা তোমাদের চাহিদা পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো এবং যা সম্ভব তা সঙ্গে সঙ্গে পূরণ করবো।’
পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে পৌঁছান নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সামনে ট্রফি উপস্থাপন করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তার নাম সংবলিত একটি স্মারক জার্সি তুলে দেয়া হয় ড. ইউনূসের হাতে।