Saturday, June 28, 2025

গাজা ধ্বংসে ইসরায়েলকে রেকর্ড অস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা

আরও পড়ুন

গেল বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় শতাব্দীর ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিকে মাটিয়ে মিশিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেয় তেলআবিব। শুধু তাই নয় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের মানব জানোয়ার বলেও মন্তব্য করেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ। আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। নেতানিয়াহু প্রশাসনের এমন হিংস্র ধ্বংসযজ্ঞের অন্যতম সহযোগী হিসেবে নিরবচ্ছিন্নভাবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি প্রকাশ্যে এলো গাজা ধ্বংসে ইসরায়েলি বাহিনীকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহায়তার পরিমাণ। এতে দেখা যায়, ইসরায়েলের জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত চলমান গাজা যুদ্ধে তেল আবিবকে রেকর্ড সামরিক সহায়তা করেছে ওয়াশিংটন।

আরও পড়ুনঃ  নড়াইলে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে ২ ভাই নিহত

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এক বছরে ইসরায়েলের জন্য কমপক্ষে ১ হাজার ৭৯০ কোটি ডলার পরিমাণ সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা ইসরায়েলকে এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো সর্বোচ্চ পরিমাণ সামরিক সহায়তা। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের কস্টস অব ওয়ার প্রকল্পের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এর জবাবে সেদিন থেকেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সে ঘটনার বর্ষপূর্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের কস্টস অব ওয়ার প্রকল্প। প্রতিবেদনে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সহায়তার হিসাব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ঢাকায় পূজামণ্ডপে পেট্রোলবোমা সদৃশ বোতল উদ্ধার

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের আয়রন ডোম ডেভিডস স্লিং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে ৪০০ কোটি ডলার খরচ করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দুক ও উড়োজাহাজের জ্বালানি বাবদ খরচ করার জন্য দেশটিকে নগদ অর্থ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত এক বছরে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক অভিযান চালানোর জন্য অতিরিক্ত ৪৮৬ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে। লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে হুতিদের হামলা ঠেকাতে মার্কিন সামরিক অভিযান বাবদ খরচগুলোকে এ হিসাবের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। ইয়েমেনভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের দাবি, গাজার জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে তারা এসব হামলা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে অবস্থান জানাল জাতিসংঘ

গবেষক উইলিয়াম ডি হারটাং ও স্টিফেন সেমলারকে সঙ্গে নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টের অধ্যাপক লিন্ডা জে বিলমেস মার্কিন সহায়তার হিসাব করেছেন। নাইন ইলেভেনের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের চালানো যুদ্ধগুলোর খরচের হিসাব-নিকাশও তিনিই করেছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ