Friday, January 10, 2025

সন্ত্রাসীদের হামলায় যুগান্তর সাংবাদিক আহত

আরও পড়ুন

রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক গাজী সাদেক আহত হয়েছেন। তিনি দৈনিক যুগান্তরের সহ-সম্পাদক।

ঢাকার প্রগতি সরণি সড়কের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় প্রগতি ফিলিং স্টেশনের সামনে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত সোয়া ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত সাদেক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাত সাড়ে ১২টায় ভাটারা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাজী সাদেক কাজ শেষে কর্মস্থল দৈনিক যুগান্তরের অফিস থেকে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় বের হন। বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন যাওয়ার উদ্দেশ্যে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার প্রগতি ফিলিং স্টেশনের সামনে ফ্লাইওভারের মাথায় রাত সোয়া ১০টায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে একজন আরোহী ফ্লাইওভারে উঠছিলেন। ফ্লাইওভার দিয়ে উল্টো পথে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে (সম্ভবত নাম্বার : গাজীপুর-১২-২২৫২) ৪/৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি মোটরসাইকেলটি চাপা দিয়ে আরোহীর গতিরোধ করে এবং মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সাংবাদিক সাদেকসহ কয়েক পথচারী এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং মোটরসাইকেল আরোহীকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে সহায়তা করেন।

আরও পড়ুনঃ  ভয়ংকর মাঙ্কিপক্স, বাংলাদেশের বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি

রুহুল আমিন গাজী ছিলেন নির্ভীক সাংবাদিক

মোটরসাইকেল আরোহী চলে গেলে সাদেকের সঙ্গে থাকা পথচারীরাও গাড়িতে উঠে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে ওই সিএনজি থেকে চালকসহ তিন যাত্রী নেমে সাদেককে একা পেয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে। এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও রড দিয়ে পিটিয়ে তাকে আহত করে। এ সময় আরেক পথচারী ঘটনার ভিডিও শুরু করলে হামলাকারীরা সাদেককে হুমকি দিয়ে তার মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। হামলায় সাদেকের বাঁ হাত, মাথা ও পিঠে জখম হয় এবং তার চশমা ভেঙে যায়।

আরও পড়ুনঃ  জানা গেল বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের কারণ

ঘটনার ভিডিও ধারণকারী ও প্রত্যক্ষদর্শী মো. আমানুল্লাহ বলেন, ‘আমি মিরপুর-১৪ এর বাসিন্দা। গ্রাম থেকে আসা পরিবারের সদস্যদের আনতে আমি ওই স্থানে অপেক্ষা করছিলাম। শুরুতে একটি মোটরসাইকেল ও উল্টো পথে আসা সিএনজি মুখোমুখি অবস্থান নেয় এবং মোটরসাইকেলটি পিষে দেওয়ার চেষ্টা করে সিএনজিচালক। আরোহীকে মোটরসাইকেল থেকে নামার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। আমি এগিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করি। তখন সিএনজিচালকসহ যাত্রীরা আমার উপর চড়াও হয়। তারা নিজেদের স্থানীয় ও প্রভাবশালী দাবি করে হুমকি-ধমকি দেয়। এ সময় সাংবাদিক সাদেকসহ আরও কয়েকজন পথচারী জড়ো হন। তাদের আমি বিষয়টি জানাই এবং সবাই মিলে ঘটনা নিবৃত্ত করে মোটরসাইকেল আরোহীকে চলে যেতে সহায়তা করি। পরে সবাই যার যার মতো চলে গেলে সিএনজি থেকে চালকসহ যাত্রীরা নেমে সাংবাদিক সাদেককে এলোপাতাড়ি মারধর করে। বিষয়টি দেখে মোবাইলফোনে ভিডিও ধারণ শুরু করলে তারা হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়।

আরও পড়ুনঃ  লেবাননের জন্য সহযোগিতা নিয়ে গেল সৌদি প্লেন

আহত গাজী সাদেক বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র আমার ওপর নির্মমভাবে হামলা চালিয়েছে। ওই সিএনজিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ছিল বলে তাদের কথোপকথনে আমি বুঝতে পেরেছি। একজন পথচারী ভিডিও ধারণ না করলে তারা আমাকে মেরে ফেলত। আমি ঘটনার বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি, দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, হামলার একটি ভিডিও ক্লিপ পেয়েছি। জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।

সর্বশেষ সংবাদ