Saturday, June 28, 2025

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হলে আহতদের জন্য যা করতেন পিনাকী

আরও পড়ুন

এবার জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আহতদের নিয়ে কথা বলেন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেপথ্য নায়ক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য।

শনিবার (০৫ অক্টোবর) বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছেন পিনাকী।

ফেসবুক পোস্টে পিনাকী ভট্টাচার্য লিখেছেন, আমি যদি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হইতাম তাইলে জুলাই আগস্ট বিপ্লবে আহতদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করতাম। ঢাকা শহরে কোনো একটা কম ব্যবহৃত হাসপাতালের পুরোটা বা একাংশ নিয়ে কাজটা শুরু কর‍তাম। আমি যেহেতু ছয় বছর দেশে নাই তাই জানিনা কোন হাসপাতালের অবস্থা কেমন। যখন দেশে ছিলাম তখন সোহরাওয়ার্দী সবচেয়ে আন্ডার ইউটিলাইজড হাসপাতাল ছিল।

আরও পড়ুনঃ  দ্রব্যমূল্যের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি নিয়ে সমন্বয়ক হাসনাতের হুঁশিয়ারি

কালবেলার পাঠকদের জন্য পিনাকী ভট্টাচার্যের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো :

আমি যদি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হইতাম তাইলে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আহতদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করতাম। ঢাকা শহরে কোনো একটা কম ব্যবহৃত হাসপাতালের পুরোটা বা একাংশ নিয়ে কাজটা শুরু কর‍তাম। আমি যেহেতু ছয় বছর দেশে নাই তাই জানি না কোন হাসপাতালের অবস্থা কেমন। যখন দেশে ছিলাম তখন সোহরাওয়ার্দী সবচেয়ে আন্ডার ইউটিলাইজড হাসপাতাল ছিল।

যাই হোক, ওইখানে আহতরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারত। ওই হাসপাতালে আমি চক্ষু, থোরাসিক সার্জারি, অর্থোপেডিক্স, ক্যাজুয়ালিটি, গাস্ট্রো ইন্টেস্টিনাল সার্জন, নিউরো সার্জারি, আইসিইউ, হাইডিপেন্ডেন্সি ইউনিট, ফিজিওথেরাপি, সাইকোলজি কাউন্সেলিং, প্লাস্টিক সার্জারি, কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপন ইউনিট এক জায়গায় আনতাম। হাসপাতাল ক্যাটারিংয়ের দায়িত্ব দিতাম স্টার রেস্টুরেন্টকে, হাউজকিপিংয়ের দায়িত্ব দিতাম পূর্বানী হোটেলকে।

আরও পড়ুনঃ  হাসনাতের ওপর হামলার পর আলোচনায় নাসির মোড়ল

বাংলাদেশের সেরা ডাক্তারদের, সেরা নার্সদের এইখানে পোস্টিং দিতাম, তাদের ন্যাশনাল হিরো বানায়ে দিতাম চিকিৎসার পূর্ণ দায়িত্ব নিতাম। যাদের বাংলাদেশে চিকিৎসা সম্ভব না, তাদের এইখান থেকেই বিদেশে পাঠাতাম। আমি হয়তো সিলেক্ট করতাম মালয়েশিয়া। কিছু ডাক্তার হায়ার করতাম কিউবা থেকে। ওরা টাকার বিনিময়ে ডাক্তার দেয়।

আহতদের প্রত্যেককে আলাদা টিভি আর ল্যাপটপ দিতাম। ফ্রি হাইস্পিড ওয়াইফাই থাকত। আশপাশে বাসা ভাড়া নিতাম সেইখানে গেস্ট হাউজ বানাতাম আহতদের পরিবারের জন্য। আহতদের পরিবারের দুইজন সদস্যের জন্য চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে থাকা আর খাওয়া ফ্রি।

আরও পড়ুনঃ  বিয়ে করলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

একটা পুনর্বাসন ইউনিট করতাম। ওইখানে কিছু বিজনেস গ্র্যাজুয়েট বসায়ে দিতাম। তারা প্রত্যেকের পুনর্বাসনের জন্য আলাদা পরিকল্পনা আর আলাদা বাজেট করত। এই বাজেটের জন্য আমি প্রফেসর ইউনুসের পিছে লাইগ্যা না থাইক্যা বাংলাদেশের বিজনেস টাইকুনদের ধরে কইতাম- এরে পুনর্বাসিত করার টেকা দেন। বিজনেস টাইকুন আগে আমারে দুইবার সালাম দিত তারপরে কইতো যথা আজ্ঞা জনাব। একেকজন আহত চিকিৎসা সম্পূর্ণ করে ফিরে যাবে তাদের নিয়ে পত্রিকায় আলাদা স্টোরি করতাম। বলে দিলাম। এখন দেখেন আপনারা যা ভালো মনে করেন।

সর্বশেষ সংবাদ