শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রকাশ্য তৎপরতা শুরু করে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর। ছবি: বিবিসি
নিষিদ্ধ ঘোষিত ধর্মভিত্তিক সংগঠন হিযবুত তাহরীরের মিডিয়া সমন্বয়কারী ইমতিয়াজ সেলিমকে আটক করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এ তথ্য নিশ্চিত করে।
২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনায় ধর্মভিত্তিক এ সংগঠনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, দীর্ঘদিন থেকে সংগঠনটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পর ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে সংগঠনটি নিষিদ্ধ রয়েছে।
নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল সংগঠনটি। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকটা প্রকাশ্যে আসে তারা। প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড চালাতে দেখা যায় তাদের।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায় হিযবুত তাহরীরনিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায় হিযবুত তাহরীর
গত ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনও করে হিযবুত তাহরীর। তাদের প্রকাশ্য তৎপরতা নিয়ে সমালোচনা হলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম জানান, হিযবুত তাহরীরের মতো বিভিন্ন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা পুলিশের নজরদারিতে আছে।
আইজিপি বলেন, ‘হিযবুত তাহরীর জঙ্গি সংগঠন। সে ব্যাপারে আমাদের মামলা হয়েছে। আমাদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে, চলবে। জঙ্গির ক্ষেত্রে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গত ১৫ জানুয়ারি হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করে যুক্তরাজ্য। জার্মানি, পাকিস্তান, মিশর এবং মধ্য এশিয়া ও আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশেও এটি নিষিদ্ধ।
ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নিয়ে লেবাননভিত্তিক সংগঠনটি ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা আরও কিছুসহ ৩২টি দেশে এটির কার্যক্রম রয়েছে।